ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কবি বন্দে আলী মিয়ার প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
কবি বন্দে আলী মিয়ার প্রয়াণ কবি বন্দে আলী মিয়া

ঢাকা: ইতিহাস কথা বলে। মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়; যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।

আজ ২৭ জুন, ২০১৯, বৃহস্পতিবার। ১৩ আষাঢ়, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ২২ শাওয়াল, ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি
১৭৫৯ -কুইবেক যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯০০ -সেন্ট্রাল লন্ডনে ইলেকট্রিক রেলওয়ে চালু হয়।
১৯৫৪ -সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৬৭ -পৃথিবীর প্রথম এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) স্থাপন করা হয় ইংল্যান্ডের এনফিল্ড শহরে।
১৯৭৪ -যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিঙ্ন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণে যান।
১৯৭৭ -জিবুতি (সাবেক ফরাসি সোমালিল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ -সোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৯১ -বিখ্যাত ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারে’র প্রথম সংস্করণের একটি কপি লন্ডনে নিলামে ৬৮১০০ ডলারে বিক্রি হয়।
১৯১৯ -প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত ভার্সাই চুক্তি হয়।
১৯১৯ -সালের ২৮ জুন ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীর ভার্সাই প্রাসাদের ‘মিরর হল’-এ এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্যারিসে ১৯১৯ সালের বসন্তে অনুষ্ঠিত প্যারিস শান্তি সম্মেলনে চুক্তির খসড়া করা হয়। খসড়ার মূল নকশা করেন ব্রিটেনের ডেভিড লয়েড জর্জ, ফ্রান্সের জর্জেস ক্ল্যামেনকু, যুক্তরাষ্ট্রের উড্রো উইলসন এবং ইতালির ভিটোরিও অরল্যান্ডো। এ চুক্তির মাধ্যমে চীন, প্রশান্ত মহাসাগর এবং আফ্রিকার সবগুলো জার্মান কলোনি ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান এবং অন্যান্য মিত্রশক্তির কুক্ষিগত হয়। জার্মানির রাষ্ট্রীয় সীমা এবং জনসংখ্যা শতকরা দশভাগ কমিয়ে আনা হয়। জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং মিত্রশক্তির অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে সংঘটিত সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য জার্মানিকে দায়ী করা হয়।
১৯৭২ -বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রোমানিয়া।
২০০৭ -গর্ডন ব্রাউন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
 
জন্ম
১৮৮০ -অন্ধ ও বধির মার্কিন লেখিকা ও মনীষী হেলেন কেলার।
১৯২২ -সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী।
১৯৪১ -ক্রিস্তফ কিয়েশলফস্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৫৯ -লরে মরগান, আমেরিকান গায়িকা।
১৯৭৭ -রাউল গনজালেস, স্পানিশ ফুটবলার।
 
মৃত্যু
১৮২৯ -ইংলিশ বিজ্ঞানী ও দার্শনিক জেমস স্মিথসন।
১৮৩৯ -শিখ রাজা রণজিত সিংহ।
১৯৫৭ -ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ম্যালকম লাউরি।
১৯৭৯ -কবি বন্দে আলী মিয়া।

কবি বন্দে আলী মিয়ার নাম শফিকুল ইসলাম শিবলী। কিন্তু তিনি বন্দে আলী মিয়া নামেই অত্যধিক পরিচিত। বন্দে আলী মিয়া আজকের বাস্তবতায় প্রায় বিস্মৃত ব্যক্তিত্ব। অথচ তিনি এব সঙ্গে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার ও শিশুসাহিত্যিক।

বন্দে আলী মিয়াকে গ্রামীণ দৃশ্যাবলির ভাষ্যকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। চিত্রকর হিসেবেও পরিচয় আছে এই কবির। তুলির মতো বাস্তবেও তিনি গ্রামীণ জীবনের নিদারুণ চিত্র কবিতা-ভাষ্যে তুলে ধরেছিলেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বিখ্যাত কালজয়ী কবিতার রচয়িতা এই কবির জন্ম ১৯০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি। পাবনার শহরের রাধানগরের নারায়ণপুর মহল্লায়। তার বাবার নাম মুন্সী উমেদ আলী মিয়া ও মায়ের নাম নেকজান নেসা। কবির শৈশব- কৈশোর কেটেছে পাবনার গ্রামীণ ও নাগরিক পরিবেশে।

১৯২৭ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে চিত্রবিদ্যায় ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেন । ১৯৬২ সালে শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৫ রাজশাহী বেতারকেন্দ্রে স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে চাকরি নেন। একই বছর সাহিত্য-প্রতিভার স্বীকৃতি স্বরূপ পাকিস্তান সরকারের প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে কবি বন্দে আলী মিয়াকে বাংলাদেশ সরকারের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়।

১৯৮০ -ইরানের সাবেক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি।
২০০০ -বাঙালি ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাহিত্যিক শঙ্কর ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।