তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার। ২৮ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ১২ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৮৪৮- সুইজারল্যান্ড ফেডারেল স্টেটে পরিণত হয়।
১৮৭৮- ব্রিটিশ সেনারা সাইপ্রাস দখল করে।
১৯১৫- ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে গদর পার্টির ২৪ কর্মীর ফাঁসি হয়।
১৯১৯- অ্যাডলফ হিটলার জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগ দেন।
১৯২৪- চীনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৪৩- জার্মানি মুসোলিনিকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে।
১৯৪৪- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মানির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৫৯- সোভিয়েত মহাকাশযান লুনিক-২ চাঁদে অবতরণ করে।
১৯৬১- পরমাণু পরীক্ষা বিরোধী বার্ট্রান্ড রাসেল ও আর্নল্ড ওয়েস্কার গ্রেফতার হন।
১৯৮০- তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান হয়।
১৯৯০- মস্কোয় দুই জার্মানির একত্রীকরণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জন্ম
১৮৯৪- বাঙালি জনপ্রিয় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়।
তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘অপরাজিত’ তার সবচেয়ে বেশি পরিচিত উপন্যাস। অন্য উপন্যাসের মধ্যে আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, ইছামতী ও অশনি সংকেত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোরপাঠ্য উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনী এবং দিনলিপিও রচনা করেন। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। ১৯৫১ সালে ইছামতী উপন্যাসের জন্য বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন। অধুনা ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলাতে, ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর তিনি মারা যান।
১৮৯৭- প্রখ্যাত ফরাসি রসায়ন ও পদার্থবিদ এরিন জুলিও কুরি।
১৯১৩- মার্কিন দৌড়বিদ জেসি ওয়েন্স।
১৯২৩- বাঙালি কবি ও অনুবাদক অরুণাচল বসু।
১৯৭৭- অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার নাথান ব্রাকেন।
মৃত্যু
১৯৮১- নোবেলজয়ী ইতালীয় কবি ও গল্পকার ইউজিনিও মন্তাল।
২০০৯- জনপ্রিয় বাউল শিল্পী শাহ আবদুল করিম।
তিনি বাংলা বাউল গানের একজন কিংবদন্তি। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। সুনামগঞ্জের কালনী নদীর তীরে বেড়ে ওঠা শাহ আব্দুল করিমের গান ভাটি অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও শহরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায় তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক গান লিখেছেন। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে। শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এছাড়াও সুবচন নাট্য সংসদ তাকে নিয়ে শাকুর মজিদের লেখা মহাজনের নাও নাটকের ৮৮টি প্রদর্শনী করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
টিএ