তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, শুক্রবার। ১২ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ২৭ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৭৬০- মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে মীর কাশিম বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা ইস্ট-ইন্ডিয়া ট্রেডিং কোম্পানির হাতে তুলে দেন।
১৮২১- মেক্সিকো স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৮৩৪- চার্লস ডারউইন ভালপারাইসোতে ফিরে আসেন।
১৯৪০- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বার্লিনে জার্মানি, জাপান ও ইতালি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
১৯৪২- স্ট্যালিনগ্রাদে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে জার্মানি।
১৯৪৯- বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৫৮- ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।
১৯৬১- সিয়েরা লিওন জাতিসংঘে যোগ দেয়।
জন্ম
১৫৫৭- জাপানের সম্রাট গো-নারার।
১৮৪৩- ফরাসি গণিতবিদ গ্যাস্টন টেরি।
১৯০৬- কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ি।
১৯০৭- ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রসিদ্ধ ভারতীয় বিপ্লবী শহীদ ভগত সিং।
১৯২৪- মার্কিন পরিবেশবিদ, মহাকাশ গবেষক ও পদার্থবিদ ফ্রেড সিঙ্গা।
১৯৩২- ভারতীয় চলচ্চিত্রকার যশ চোপড়া।
১৯৭৬- ইতালিয়ান ফুটবলার ফ্রান্সিস্কো টট্টি।
১৯৮১- নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার ব্র্যান্ডন ম্যাককুলাম।
মৃত্যু
১৮৩৩- ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক রাজা রামমোহন রায়।
তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রেখেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হন সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। রামমোহন রায় কলকাতায় ১৮২৮ সালে আগস্ট ২০ দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠাতা করেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসেবে কাজ করে।
১৯৩৩- বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায়।
তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রিধারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একসময় ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে লিখতেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘আলো ও ছায়া (১৮৮৯)’ ‘নির্মাল্য (১৮৯১)’ ‘পৌরাণিকী (১৮৯৭)’ ‘মাল্য ও নির্মাল্য (১৯১৩)’ ‘অশোক সংগীত (সনেট সংগ্রহ, ১৯১৪)’ ‘অম্বা (নাট্যকাব্য, ১৯১৫)’ ‘দীপ ও ধূপ (১৯২৯)’ ‘জীবন পথে (১৯৩০)’ ‘একলব্য’ ‘দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন’ ও ‘শ্রাদ্ধিকী’
১৯৭১- বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার নাজমুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
টিএ/এএ