পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও মায়াকাড়া হরিণ সম্ভবত চিত্রা। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানেই শুধু এদের দেখা পাওয়া যায়।
আরেক ধরনের হরিণ দেখা যায় যাদের গায়ের রং লালচে হয়। এ ধরনের হরিণ বেশি দেখা যায় ইউরোপে। হরিণপ্রেমীরা লাল রঙের হরিণও বেশ পছন্দ করেন কারণ এগুলো আকারে বড় আর এদের শিংগুলো গাছের শাখার মতো ছড়িয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে ষোড়শ শতাব্দী থেকেই এ হরিণের বেশ কদর রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন পার্কে দেখা যায় এসব হরিণেরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করছে। লন্ডনের রিচমন্ড পার্কে টবি মেলভিলের ক্যামেরায় এমনই কিছু হরিণের ছবি সাড়া ফেলেছে বেশ। এসব হরিণদের প্রজননের সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। এসময় দুই হরিণ নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে পছন্দের সঙ্গীর কাছে। এভাবে মারামারি করেই হরিণগুলো নিজের প্রতি আকর্ষিত করে হরিণীকে।
তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী অপেক্ষা করছে দুই সঙ্গীর হার-জিতের। একজন হেরে গেলেই আবারও শুরু হবে লড়াই। হরিণেরা যখন নিজেদের শক্তি পরীক্ষায় মত্ত হয় তখন পর্যটকদের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়। কে না জানে হরিণ খুব লাজুক প্রাণী। মানুষ দেখলেই এরা দৌড়ে পালায়। রিচমন্ড পার্কে এ সময়টায় প্রবেশাধিকার সীমিত রাখে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করেছে ভাবছেন? না দৃশ্যটি দেখলে তা মনে হলেও এরা আসলে শিশিরভেজা ঘাসে খেলছে। এসময় মিষ্টি কুয়াশাযুক্ত ঘাস খেতে দারুন পছন্দ করে হরিণগুলো। অপরটি শিশিরে ভিজিয়ে নিচ্ছে নিজেকে। অনেক সময় সঙ্গীকে আকর্ষণ করতে যুদ্ধে জড়িয়ে মারাত্মক আহত হয় প্রাণীগুলো। নিজেদের শিং জড়িয়ে ফেলে অপরজনের সঙ্গে।
হরিণগুলোর ছবি তুলছেন একজন ফটোগ্রাফার। রিচমন্ড পার্কের হরিণগুলো মানুষ দেখে অভ্যস্ত। তাই খুব একটা ভয় পাচ্ছে না তাকে দেখে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
কেএসডি/এএ