নতুন করে পৃথিবী এমনই এক বরফ যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন একদল বিজ্ঞানী।
তারা জানান, অ্যান্টার্কটিকার বরফ ধীরে ধীরে বাড়ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকায় জমতে থাকা এ বরফ সমুদ্রের উপর ঢাকনার মতো কাজ করছে। এতে সমুদ্র থেকে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরিত হতে পারছে না।
নিঃসরিত না হওয়া এ কার্বন ডাই অক্সাইড পৃথিবীর পরিবেশকে দিন দিন শীতল করে তুলছে। ফলে পৃথিবী আবার বরফ যুগে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী বৈশ্বিক পরিবেশের বিন্যাসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে বিষয়টি উদঘাটন করেন।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ম্যাল্টে জ্যানসেন বলেন, এক্ষেত্রে প্রধান একটি প্রশ্ন, কী কারণে পৃথিবীতে চক্রাকারে বরফ যুগের আগমন ও সমাপ্তি ঘটে। এক্ষেত্রে বায়ুমন্ডল ও সাগরের কার্বনের মাত্রার তারতম্যের বিষয়ে নিশ্চয়তার কথা জানান তিনি। কিন্তু এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক কোনো কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
প্রফেসর জ্যানসেন ও শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চার অ্যালিস মারজুকি কম্পিউটার গ্রাফিক্স তৈরির মাধ্যমে দেখান, জমতে থাকা এ বরফ শুধু সাগরের পানির প্রবাহতে পরিবর্তন করছে না, বরং সমুদ্র থেকে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণেও বাধা দিচ্ছে। যা পৃথিবীর পরিবেশকে ক্রমেই শীতল করছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফি সেন্টারে কাজ করা মারজুকি বলেন, বায়ুমন্ডলে কার্বনের নিঃসরণ কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। ফলে পৃথিবী ক্রমেই শীতলতর হচ্ছে।
এদিকে অ্যান্টার্কটিকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রচলিত বৈজ্ঞানিক মতবাদ ভিন্নতর। সাধারণভাবে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে দিনে দিনে গলছে অ্যান্টার্কটিকার বরফ।
এবছর জুলাইয়ে নাসা জানায়, অ্যান্টার্কটিকায় বিশাল আকারের হিমবাহের পতন হয়েছে, যার পরিমাণ পুরো মেক্সিকোর সমান।
তারা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে এভাবে যদি বরফ গলতে থাকে, তবে ২৩০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক সমুদ্র উচ্চতা ১.২ মিটার (৪ ফুট) বাড়বে। এর ফলে বাংলাদেশ, মালদ্বীপসহ অনেক দেশ সমুদ্রে তলিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এবি/এএ