ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

বঙ্গবন্ধুর তিন বইয়ে বাংলাদেশের একশো বছরের ইতিহাস 

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর তিন বইয়ে বাংলাদেশের একশো বছরের ইতিহাস  জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে রচনা পাঠ কার্যক্রমের মতবিনিময় সভা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর তিনটি বইয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একশো বছরের ইতিহাস আছে। এতে যেমন রাজনীতি আছে, তেমনি আছে সমাজনীতি আর অর্থনীতি।

তিনটি বই পড়ার মধ্য দিয়ে একজন মানুষ সত্যিকার অর্থে বাঙালি হয়ে উঠতে পারবেন। একজন মানুষ সত্যিকারভাবে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শক্তি পাবেন।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সভা কক্ষে আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই’ শিরোনামে রচনা পাঠ কার্যক্রমের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলেন, জাতির পিতার লেখা গ্রন্থসমূহ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এসব বই পাঠ করে দেশপ্রেমের দীক্ষা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর রচনা পাঠ কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুহিতা সুলতানা।

বই পড়া কার্যক্রম নিয়ে মফিদুল হক বলেন, ঢাকা মহানগরীতে এক কোটির উপরে মানুষ। দশটা লাইব্রেরি সেখানে কিছুই না, বুদবুদের মতো মিলিয়ে যাবে মনে হবে। কিন্তু দশটা পাঠাগার যে কাজটা করছে তা মিলিয়ে যাবার নয়। বরং একটা মশাল থেকে আরেকটা মশালে আলো জ্বালানোর কাজ করবে। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ঘুমন্ত লাইব্রেরিগুলো জাগিয়ে তুলছে। পাড়ায় পাড়ায় সাড়া পড়ছে। এটা অসাধারণ ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে অনেকগুলো দিক জড়িত।

সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সামাজিকভাবে জানার চেষ্টা করতে হবে। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু যে আন্তর্জাতিক পরিসর তৈরি করে গেছেন, সেই বাঙালিত্বের চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। এটা মুখে বললে হবে না। প্রকৃত অর্থে সোনার মানুষ হওয়া কঠিন। এটা নতুন প্রজন্মকে শেখাতে হবে। সোনার মানুষ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশকে জানতে হলে পাঠ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই।

সাইফুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর বইয়ের মধ্যে বাংলাদেশের একশ বছরের ইতিহাস আছে। একশ বছরের রাজনীতি, সমাজনীতি এবং অর্থনীতি আছে। বঙ্গবন্ধুর বই পড়ে একজন মানুষ আত্মপরিচয় ফিরে পেতে পারে। শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পাবে। একজন মানুষ যদি তিনটি বই পড়ে এবং উপলব্ধি করে জীবনাচারে অনুসরণ করার চেষ্টা করে, তাহলে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্নের সোনার বাংলা সেটি আমরা ফিরে পাবো সত্যিকার অর্থে।

সভাপতির বক্তব্যে মিনার মনসুর বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে বই পড়া কর্মসূচি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। যার লক্ষ্য গৃহবন্দি পাঠক, বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পাঠ্যবই বহির্ভূত সৃজনশীল ও মননশীল বই পৌঁছে দেওয়া।

পাঠ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া ১০টি লাইব্রেরি— সীমান্ত গ্রন্থাগার, গ্রন্থবিতান, দনিয়া পাঠাগার, অনির্বাণ পাঠাগার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার, বুকল্যান্ড লাইব্রেরি, শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগার, সৃষ্টি পাঠোদ্যান, শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার, তাহমিনা ইকবাল পাবলিক লাইব্রেরির কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।