ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

গায়ক কিশোর কুমারের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
গায়ক কিশোর কুমারের প্রয়াণ কিশোর কুমার গাঙ্গুলি

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৩ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার। ২৮ আশ্বিন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫৫৬- মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সূচনা।
১৭৭০- তামার পয়সার বদলে ‘আনি’র প্রচলন শুরু।
১৭৯২- যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।
১৯৪৩- অক্ষশক্তি জার্মানির পক্ষ ত্যাগ করে তাদেরই বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইতালি।
১৯৯১- আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীন প্রেক্ষাগৃহ ‘স্টার থিয়েটার’ ভস্মীভূত।

জন্ম
১৯২৫- যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।
১৯৩৮- ব্রিটিশ সাংবাদিক ও লেখক হুগো ইয়াংয়।
১৯৪৮- পাকিস্তানের কিংবদন্তিতুল্য কাওয়ালি সংগীতশিল্পী নুসরাত ফতেহ আলি খান।
১৯৯৪- বাংলাদেশি ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস।

মৃত্যু
১৯৬৪- বাঙালি কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রেমাঙ্কুর আতর্থী।
১৯৬৪- বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রেঁনেসার কবি গোলাম মোস্তফা।
১৯৮৭- ভারতীয় বাঙালি গায়ক এবং নায়ক কিশোর কুমার গাঙ্গুলি।

তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সর্বাধিক সফল এবং সর্বশ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বিবেচিত হন। কিশোর কুমার ছিলেন বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। তিনি জীবনে চারটি বিবাহ করেন। চলচ্চিত্র জীবনে চারটি বাংলা ফিল্মে অভিনয় করেন এই সফল ব্যক্তি।

কিশোর কুমার বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালায়লম, ওড়িয়া এবং উর্দু। তিনি আটবার শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়কের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন এবং একই বিভাগে সর্বাধিক ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ডও করে গেছেন।

১৯৮৭- যাত্রা অভিনেতা ও পরিচালক অমলেন্দু বিশ্বাস।
২০০২- তেভাগা আন্দোলন এবং বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী নেত্রী ইলা মিত্র।

বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করে গেছেন। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন। কলকাতায় জন্মের পর ইলা মিত্র ছিলেন ইলা সেন। তার বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন বৃটিশ সরকারের অধীন বাংলার একাউন্টেন্ট জেনারেল। তাদের আদি নিবাস ছিল তৎকালীন যশোরের ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে তারা সবাই কলকাতায় থাকতেন। এখানেই তিনি বেড়ে উঠেন। লেখাপড়া করেন কলকাতার বেথুন স্কুল ও কলেজে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।