শীতকাল হলো হরেক রকম স্বাদের পিঠা খাওয়ার মাস। পৌষ মাসের শীতে চুলা থেকে গরম গরম পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে।
নগরবাসীকে পিঠার স্বাদ দিতে শিল্পকলা একাডেমি মাঠে আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব।
দুপুরের পর থেকেই শিল্পকলা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে পিঠা প্রেমিকরা। পুরো মাঠ সাজানো হয়েছে রঙ-বেরঙের বেলুনে। বিকেল হতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, সবাই মাস্ক পড়বেন। মহামারি করোনা আবার বিশ্বের অনেক দেশে হানা দিচ্ছে। আমাদের সবারই সাবধান হতে হবে।
তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমিও পিঠা বানাতে পারি। ছোট বেলায় পরিবারের সবার সঙ্গে বসে নানা রকম পিঠা বানাতাম।
উদ্বোধন শেষে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ও গান কবিতার আসর। আর অন্যদিকে চলতে থাকে গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম।
পিঠা উৎসবের দোকানগুলো সাজানো হয়েছে যার যার অঞ্চলের নামকরা পিঠা দিয়ে। রয়েছে ভাপা, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, ডিম চিতই, ভাজা কুলি, ঝাল কুলি, তিলের পুলি, দুধ পুলি, সুন্দরী পাকান পিঠা, তারা পিঠা, গোলাপফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, বিবিয়ানাসহ অসংখ্য পিঠার সমারোহ।
দেশের বিভিন্ন জেলার তৈরি প্রতিটি দোকানেই চলছে বিকিকিনি। সন্ধ্যার পর শিল্পীদের মজার মজার গানে শিহরিত পিঠা খেতে আসা প্রেমিকরা।
পিঠা প্রেমিকদের জন্য বিভিন্ন জেলার মজার মজার গান আর পিঠার স্বাদ দিতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মাঠে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। আয়োজন থাকবে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন >>> নগরে গ্রামীণ পিঠার স্বাদ
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কেএআর