ঢাকা: প্রতিবারের মতো এবারও ডেমরার বাউলাপাড়ায় শুরু হয়েছে বাউল মেলা। তিন দিনব্যাপী চলবে এ মেলা।
মেলা প্রাঙ্গণে ছোট-বড় কয়েকটি মন্দির রয়েছে, মূলত মন্দিরকে কেন্দ্র করেই আয়োজিত হয় বাউল মেলা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন এখানে। মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।
দেশ-বিদেশের বাউলদের গানে ও পূণ্যার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে ডেমরায় বালু নদীর তীরে বাউল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা। মেলায় দেবতা ব্রহ্মার পূজায় হাজার হাজার হিন্দু ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
তেমনি একজন অংশগ্রহণকারী অজয় কুমার দাস। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ও সুস্থতা কামনায় এবং মনোবাসনা পূরণের জন্য উপবাস থেকে গঙ্গায় পূণ্যস্নান করে মহাযজ্ঞে অংশ নিয়েছেন তারা।
মেলায় কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ-বাঁশ ও মাটির তৈরি পণ্য, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, মিষ্টির দোকানসহ প্রায় ২শ’ দোকান বসেছে। এসব দোকান থেকে নারী-শিশুসহ সবাই পছন্দমত কেনাকাটা করছেন। এছাড়া শিশুদের জন্য মেলায় নাগরদোলাসহ বিনোদনমূলক বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতিবার মেলায় বায়োস্কোপ প্রদর্শন করেন মাইনুদ্দিন। মাইনউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে গ্রাম্য মেলা হয়, সেখানে আমি বাইস্কোপ প্রদর্শন করি। বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে বায়োস্কোপ অন্যতম ভূমিকা পালন করে। তবে এখন আর মানুষ বায়োস্কোপ দেখতে চায় না। মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে বায়োস্কোপ অনেকটাই বেমানন। অথচ এক সময় বায়োস্কোপ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসত। তবুও ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমার এ চেষ্টা।
ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলায় স্থানীয়রা ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষসহ হাজার হাজার মুসলিম পরিবারের লোকজন আসেন।
প্রসঙ্গত, বাউল সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী ২৯১ বছর ধরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
জেডএ