ফিনল্যান্ড: প্রবাস জীবনে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া পেতে হেলসিংকিতে পিঠাপুলি উৎসবে মাতলেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিরা। উৎসবে মুখে পিঠা তুলে ঐতিহ্য আর দেশীয় স্বাদ নিলেন সবাই।
শীতের সঙ্গে পিঠার সম্পর্ক নিবিড়। বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ পিঠা। এ উৎসবে-আনন্দে মিশে গেলো নানা নামের রকমারি পিঠা। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে এই পিঠাপুলি উৎসব বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির কথা মনে করিয়ে দেবে।
ফিনল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অনন্যা’ বাঙালির আদি সংস্কৃতির অঙ্গ পিঠাপুলির এ উৎসবের আয়োজক।
সৈয়দা জেসমিন আরা বীথির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও আবেরা সুলতানা ন্যান্সীর সঞ্চালনায় ২১ নভেম্বর (শনিবার) দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা ছিল উৎসবের আঙ্গিনা। সঙ্গে ছিল কচিকণ্ঠের গানে মাতোয়ারা পরিবেশন।
হেলসিংকির এ বর্ণিল পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথির ছিলেন ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অশোক কুমার শর্মা।
অতিথিদের মধ্যে আরো ছিলেন- ফিনল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের সরকারের অনারারি কনস্যুল জেনারেল মি. হ্যারি ব্লেসার, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর মি. রনবীর সদহী, পরিবেশ ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ মি. কাই লাকশনেন প্রমুখ।
উৎসবে সাজানো ছিল বাংলাদেশের প্রচলিত প্রায় ৩০ রকমের পিঠা। এর মধ্যে দুধ চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, গোলাপ পিঠা, মুগ পাক্কন, পাটিসাপ্টা, তেলের পিঠা, মাংসের পিঠা, ডালের পিঠা, ঝিলমিল পিঠা, সাগুর পিঠা, ফুল পিঠা, তালের পিঠা, মেরা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, ভাজা কলই পিঠা, ডিম রোল পিঠা, ছিটরুটি পিঠা, নিমকি পিঠা, চিড়া পিঠা, ভাপ কলই পিঠা, ভর্তা চিতি পিঠা, ডিম ছিট রুটি, ডিম মেরা পিঠা, ছাচের পিঠা, প্যান কেক, পুডিং, দই বড়া, চালের রুটি, দই পিঠা, সেমাই পিঠা, সরু পিঠা, গরুর কারি, আমলকি আচারসহ আরও বাহারি নামের পিঠা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫
জেডএস