ফিনল্যান্ড: যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ফিনল্যান্ডে উদযাপিত হলো দেশটির ৯৮তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯১৭ সালের এই দিনে ফিনল্যান্ড প্রজাতন্ত্র পার্শ্ববর্তী দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
৬ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ৮টায় পতকা উত্তোলন ও ফিনল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের ময়দানে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শুরু হয় দেশেটির ৯৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন।
এই দিবসের মূল আকর্ষণ ছিল ফিনিস প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের জাঁকজকম অনুষ্ঠানটি। সারাদেশের আধিকাংশ জনগণ এই আয়োজনটি সরাসরি টেলিভিশনের পর্দায় উপভোগ করেন।
ফিনিস প্রেসিডেন্ট মি. সাউলী নিনিস্তো ও মিসেস নিনিস্তোর আমন্ত্রণে প্রায় ১৮০০ অতিথি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন, ফিনল্যান্ডের প্রাক্তন জীবিত প্রেসিডেন্টরা, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা, সব পার্লামেন্ট মেম্বার, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা, রাজনৈতিক ও সুধীজন।
স্বাধীনতা দিবসের এইদিনে ফিনিস প্রেসিডেন্ট অট্টালিকা ভবনে চলে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিনব ও জাঁকজকম এক উৎসব।
বাৎসিরক এই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী রুচিশীল পোশাকে আমন্ত্রিতদের নিয়ে চলে কল্পনার জগতে। এমন পোশাকের দাম এক লাখ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। কথাটি মিথ্যে নয়,‘জীবন ও উত্তেজনার সৌন্দর্য এমন এক বিষয়, যার জন্য পয়সা খরচ করতে খারাপ লাগে না। ’ আবার অতিথিদের পোশাকের আধুনিকতা পুরোপুরি সত্য বলেও মেনে নেওয়া যায় না।
এতে থাকে অতীত, বর্তমান ও আধুনিক যুগের মিশ্রণ,আবার ভবিষ্যতের ছোঁয়াও থাকে। এখানে সবাই নিজেকে মনোরম পোষাকে রূপ দিয়ে থাকেন। গোটা ফিনল্যান্ড সেজে ওঠে আলোর রোশনাই আর ফুলের ডালিতে।
অবশ্য সারা বিশ্বেই সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উৎসবের বিশেষ কদর রয়েছে। তাই দেশীয় ঐতিহ্যের প্রভাবে এটিকে কীভাবে আরও উপভোগ্য করে তোলা যায়, সেটি নিয়ে গবেষণাও চলে।
এদিন ধর্ম,বর্ণ ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সুধীজনের সমাগমে কোলাহলপূর্ণ আর সুস্বাদু খাবারের গন্ধে-ভরপুরে বদলে যায় উৎসবমুখর ফিনিস প্রেসিডেন্টের স্বপ্নময় অট্টালিকা ভবনটি।
ফিনল্যান্ডে এদিনটি অন্যান্য দিন থেকে একটু আলাদা মনে হয়। আলোকমালায় উদ্ভাসিত প্রেসিডেন্টের অট্টালিকা দেখে যে কেউ যেন বুঝতে পারে, এখানেই একটি দেশের স্বাধীনতার উৎসব হচ্ছে।
নানা ধরনের খাবার ও পাশাপাশি পরিবেশিত হয় দেশের নামকরা শিল্পীদের নাচ-গান। অতিথিদের কাছে ফিনিস সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
রোববার ছুটির দিনে স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে ফিনল্যান্ডে সরকারি ও বেসরকারি ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে নীরবতা পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএইচ