আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন ভয়চেক সেজনি। হারলেও সেভ দিয়েছিলেন ১০ টি।
এই ম্যাচের আগে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে থিয়েরি অরির সঙ্গে শীর্ষে ছিলেন জিরুদ। কিন্তু আজকের পর ছাড়িয়ে গেলেন অরিকে। ৫২ গোল নিয়ে ফ্রান্সের হয়ে এককভাবে সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন জিরুদ। এই গোলে থিয়েরি অরিকে ছাড়িয়ে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন জিরুদ (৫২)। তাতে আরেক ইতিহাসও গড়েন এই ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে নকআউট পর্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করা ফুটবলার তিনি। ৩৬ বছর ৬৫ দিন বয়সে আজকের গোলটি করেন তিনি।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর তৃতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় ফ্রান্স। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ২০ মিনিটের ভেতর আদায় করে নেয় চারটি কর্নার। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা। ১৩ মিনিটে অরেলিয়ে শুয়োমেনির বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন সেজনি। ১৭ মিনিটে উসমান দেম্বলে হতাশ করেন এই গোলরক্ষক। ২০ মিনিটে আবারও গোলমুখে শট নেন শুয়োমেনি। কিন্তু এবারও ব্যর্থ তিনি।
৪৪ মিনিটে অবশেষে ডেডলক ভাঙেন জিরুদ। কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে ডান কোণা দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। গড়েন ইতিহাস! এর ছয় মিনিট আগে ভালো সুযোগ পেয়েছিল পোল্যান্ড। জেলেনস্কির দূরপাল্লার শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস। ফিরতি শটে গোলমুখে বল পাঠান কামিনস্কি। যা লরিসের নাগালের বাইরে। তবে রাফায়েল ভারানের কল্যাণে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় ফ্রান্স।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২২
এএইচএস