খেলার মাত্র অষ্টম মিনিটেই ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এগিয়ে গেল ব্রাজিল। এর মিনিট চারেক পরেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ালেন নেইমার জুনিয়র।
২০০২ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে আজ স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল। ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ব্রাজিলের একাদশে ফিরেছেন নেইমার জুনিয়র। তবে ফিরতে পারেননি আলেক্স সান্দ্রো।
খেলার মাত্র অষ্টম মিনিটে ডান দিক থেকে বল নিয়ে ভিনিসিয়ুসের দিকে ব্যাক ক্রস দেন রাফিনিয়া। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখেশুনে বল জালের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। এটাই বিশ্বকাপে তার (৩ ম্যাচে) প্রথম গোল। এর মিনিট তিনেক পরেই দ. কোরিয়ার ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলেন রিচার্লিসন। এবার পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন নেইমার। আর মাত্র একটি গোল করলেই ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের (৭৭) রেকর্ডে পেলেকে ছুঁয়ে ফেলবেন পিএসজির তারকা ফরোয়ার্ড।
খেলার ২৯তম মিনিটে রিচার্লিসনের ম্যাজিক। এবার প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে মার্কুইনোসের কাছে বল দিলেন তিনি। মার্কুইনোস আবার পাঠিয়ে দিলেন থিয়াগো সিলভার কাছে। ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক সেই বল পাস করলেন রিচার্লিসনকে; যিনি নিখুঁত শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন।
এর মাত্র ৭ মিনিট পরেই ব্যবধান ৪-০ করলেন লুকাস পাকেতা। এবার রিচার্লিসন বল নিয়ে দৌড়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে কাছে থাকা নেইমারকে খুঁজে নিলেন, যিনি আবার তা বাড়িয়ে দিলেন ভিনিসিয়ুসের দিকে। ম্যাচের প্রথম গোল করা ভিনি সেই বল ব্যাক ক্রসে দিলে গোলমুখের কাছে থাকা পাকেতার কাছে। দারুণ দক্ষতায় নিখুঁত ফিনিশিং দিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
১৯৫৪ সালের (মেক্সিকোর বিপক্ষে) পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪ গোল করল ব্রাজিল। আর ২০১৪ বিশ্বকাপের পর এমন নজির আর কোনো দলেরই নেই। সেবার ব্রাজিলের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৪ গোল করেছিল আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
শেষ পর্যন্ত ওই ৪-০ ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
এমএইচএম