আক্রমণের পর আক্রমণ। পুরো ৯০ মিনিট এভাবেই ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে এভাবেই ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে ব্রাজিল।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা হয় ম্যাড়মেড়ে। রেফারির বাঁশি বাজার পর ব্রাজিলকে চেনাই যাচ্ছিল না। ছন্দ খুঁজে পেতে সময় নেয় তিতে শিষ্যরা। তবে মিডফিল্ডে জায়গা হারাচ্ছিল ক্রোয়াটদের কাছে। তারপরও সেই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠে সেলেসাওরা। কিন্তু কোনোভাবেই অতিক্রম করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে। গোলমুখে ব্রাজিলের নেওয়া ৮টি শটের সবগুলোই ঠেকিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধে মারিও পাসালিচের নেওয়া ক্রস মিলিতাওয়ের চাপে ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে পারেননি পেরিসিচ। ২০তম মিনিটে সুযোগ পায় ব্রাজিল। বক্সে রিচার্লিসনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে শট নেন তিনি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। ৪২তম মিনিটে বক্সের খুব কাছেই ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। নেইমারের নেওয়া শট ঝাপিয়ে ঠেকান ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক।
৫৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে নেইমার রাইফেল ছুঁড়লেও তা জালের দেখা পায়নি। দারুণ দক্ষতায় তা ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। ৬৬ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের বাধা হয়ে দাড়ান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে লুজ বল পেয়েছিলেন লুকাস পাকেতা। তাকে আটকানোর মতো কেউ ছিল না তখন। কিন্তু লিভাকোভিচ জাল রক্ষা করতে কোনো ভুল করেননি। কর্নারের মাধ্যমে পাকেতার সেই শট ফিরিয়ে দেন তিনি।
৭৬ মিনিটে নেইমারকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢোকার সুযোগ করে দেন রিচার্লিসন। লিভাকোভিচ ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন নেইমারের পায়ে বল থাকা মানেই বিপদ। তাই তাকে আটকাতে নিজের সর্বস্বটা উজাড় করে দেন তিনি। নেইমারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। দ্বিতিয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বা পায়ে কাট করেন আন্তনি। কিন্তু তা সোজা চলে যায় লিভাকোভিচের হাতে।
বাংলাদেশ সময় : ২২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২
এএইচএস