আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ড ম্যাচটি সব ধরনের বিনোদন দিয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের। মেসি ম্যাজিকে ভর করে আর্জেন্টিনা ৭০ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল।
ম্যাচটি যত এগোচ্ছিল পরিস্থিতি ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। মোট ১৮ বার রেফারি আন্তোনিও ম্যাথিউ লাহোজ হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতার পরে আবেগ তাড়িত ছিলেন লিওনেল মেসিও। তাকে সবাই সাধারণত ঠাণ্ডা মাথার সাদাসিধে মানুষ বলেই চেনেন। কিন্তু ম্যাচ জিতে ডাচ ডাগ-আউটে গিয়ে তাদের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ান লিওনেল মেসি।
ম্যাচের আগে ডাচ কোচ লুইস ফন গাল মেসিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে যখন আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের পায়ে বল থাকে না এবং বিপক্ষ বল নিয়ে নাড়াচাড়া করে তখন মেসির কোন ভূমিকাই থাকে না মাঠে। এরপর পেনাল্টি থেকে গোল করে ঠিক ডাচ কোচের সামনে গিয়েই কানে দু-হাত দিয়ে তাকে দেখিয়ে নিজের গোল উদযাপন করেন মেসি।
এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে,আর্জেন্টিনার কিংবদন্তী ফুটবলার রোমান রিকুয়েলমে ২০০৩ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ছেড়ে বার্সেলোনাতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তখন বার্সেলোনার কোচ ছিলেন লুইস ফন গাল। দারুন ফর্মে থাকার পরও তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করতেন ফন গাল। দিনের পর দিন তাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখতেন এই কোচ। ফলে গোলের পর তার সামনে যেয়ে কানে হাত দিয়ে রিকুয়েলমের ট্রেডমার্ক উদযাপন করেন মেসি। তাকে মনে করিয়ে দেন রিকুয়েলমের সঙ্গে অন্যায় অবিচারের কথা।
এরপর একটি ভিডিওটা দেখা যায় ম্যাচ শেষে ডাচ ডাগ আউটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মেসি। তিনি এগিয়ে এসে কিছু বলতে শুরু করলে ডাচ কোচ বেঞ্চ ছেড়ে এগিয়ে আসেন। তখন মেসি নিজের হাত দিয়ে কথা বলার ইঙ্গিত করে ডাচ কোচকে বোঝান যে তিনি বড্ড বেশি কথা বলেন।
এখানেই অবশ্য ঘটনার শেষ হয়নি। ম্যাচ জিতে ম্যাচের সেরা ফুটবলার হিসেবে যখন মেসি সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তখন আচমকা এই সাক্ষাৎকার ছেড়ে তিনি ডাচ দলের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন, ‘এদিকে কি দেখছ বোকার মতো? তোমরা প্রত্যেকে মাথামোটা। যাও এগিয়ে যাও, তোমরা হেরে গিয়েছো। ’ মেসি ভক্তরা অবশ্য মেসির এই রূপ বেশ উপভোগই করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
এআর