পুরো ফুটবলবিশ্বকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ফুটবলের 'কালো মানিক' পেলে। তর্কযোগ্যভাবে সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারের মৃত্যুর খবরে মুষড়ে পড়েছেন কোটি ফুটবলপ্রেমী।
পায়ের জাদু ছাড়াও গান লেখায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন পেলে। শতাধিক গান লিখেছিলেন তিনি। এর মধ্যে তার একটি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে এক লাখ কপির বেশি। ভালো গান গাইতে পারতেন তিনি। শুধু কি তাই, আরেক প্রয়াত মহাতারকা ম্যারাডোনার এক টেলিভিশন শোতে গিটার হাতে গাইতেও দেখা গেছে তাকে।
অভিনয়েও হাত পাকিয়েছিলেন পেলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র ‘ভিক্টরি’সহ কয়েকটি সিনেমাতেও পেলে অভিনয় করেছেন। তিনি বড় পর্দায় প্রথম আসেন ১৯৬২ সালে। কার্লোস হুগো ক্রিস্টেনসেন পরিচালিত ‘কিং পেলে’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ওই বছরই তিনি দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।
পেলের আরেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রের নাম ভিক্টরি (১৯৮১)। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয় তখন চলচ্চিত্রাঙ্গনে খ্যাতির তুঙ্গে হলিউড অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন। তার সঙ্গে এ সিনেমায় পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেন পেলে। এ সিনেমায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের নাৎসী ও বন্দিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল ম্যাচের গল্প তুলে ধরা হয়।
পেলের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আরেকটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘বার্থ অব এ লেজেন্ড’ (২০১৬)। কীভাবে বস্তির দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়েও নানা সংগ্রাম পেরিয়ে পেলে হয়েছেন ফুটবল দুনিয়ার কিংবদন্তী, সেই চেনা গল্পটাই সিনেমার পর্দায় নতুন করে বলেছেন পরিচালক মাইকেল ও জেফ জিম্বালিস্ট। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছেন ভারতের অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক এ আর রহমান।
এছাড়া ১৯৭২ সালে ‘আ মার্চা’, ‘আ মাইনর মিরাকল’ (১৯৮৫), ‘হটসহট’সহ (১৯৮৬) আরও কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন পেলে।
টেলিভিশনের ধারাবাহিকেও পেলেকে দেখা গেছে। ১৯৬৯ সালে ব্রাজিলিয়ান ধারাবাহিক ‘ওস এস্ত্রানহোতে’ তিনি অভিনয় করেন। এছাড়া, ‘উজিসস্ত্রোনস’ (১৯৬৯), ‘সালভাদর দ্য পাতরিয়া (১৯৮৯)’, ‘দ্য ক্লোন’ (২০০১) এবং ‘স্ফিডি’ (১৯৯৮) ধারবাহিকে পেলে অভিনয় করেন।
২০২১ সালে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘পেলে’ নামের ডকুমেন্টারি তৈরি করে নেটফ্লিক্স।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
এমএইচএম