কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে উরুগুয়ের। তবে শেষ ম্যাচে রেফারির কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশটির কয়েকজন ফুটবলার।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ফুটবল বিশ্বের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা শাস্তির ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়। উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফের্নান্দো মুসলেরা ও ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া হিমেনেসকে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন ও স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানির নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচ করে।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে গত ২ ডিসেম্বর ঘানার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে উরুগুয়ে। এই জয়ে পরবর্তী পর্ব প্রায়ই নিশ্চিত করে ফেলে দেশটি। তবে একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে যোগ করা সময়ে পর্তুগালকে ২-১ ব্যবধানে হারায় দক্ষিণ কোরিয়া। এতেই উল্টে যায় উরুগুয়ের ভাগ্য। পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান সমান হওয়ায় একটি গোল বেশি করার কারণ দেখিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে দেওয়া হয় নকআউটের টিকিট।
এরপর ঘানার বিপক্ষে ম্যাচে রেফারিকে নিয়ে সমালোচনা করে উরুগুয়ের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে দারউইন নুনেস এবং ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কাভানিকে প্রতিপক্ষের ট্যাকলের জন্য পেনাল্টির আবেদন করেছিল উরুগুয়ে। তবে সেসময় সাড়া দেননি জার্মান রেফারি ড্যানিয়েল সিবার্ট। তাইতো ম্যাচ শেষে স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেস বলেছিলেন, ফিফা ‘উরুগুয়ের বিপক্ষে। ’বাকিরাও একইভাবে সমালোচনা করেছেন রেফারির।
এদিকে শুধু চার ফুটবলারকে নিষিদ্ধ নয়, বরং আরও কিছু শর্ত উরুগুয়ের জন্য বেধে দিয়েছে ফিফা। ওই চারজনকে ফুটবল-সম্পর্কিত সেবামূলক কাজে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানাও দিতে হবে। এছাড়া সমর্থক ও খেলোয়াড়দের অশোভন আচরণের জন্য উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনকেও ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বাড়তি জরিমানা করেছে ফিফা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
আরইউ