ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ

ঘরের মাঠে নিজেদের ফেভারিট ভাবছে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
ঘরের মাঠে নিজেদের ফেভারিট ভাবছে বাংলাদেশ

চার দলের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। যেহেতু ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট, তাই নিজেদের ফেভারিট হিসেবেই ভাবছে বাংলাদেশ।

আজ সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে ভারত, নেপাল ও ভুটান। রাউন্ড রবিন লিগ ভিত্তিতে প্রতিটি দল একে অপরের মুখোমুখি হবে। টেবিলের সেরা দুই দলকে নিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচই হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।

ঘরের মাঠে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে চায় বাংলাদেশ। ছোটন বলেন, ‘আমাদের দল সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকে। আমাদের লক্ষ্য ফাইনালে খেলা, ম্যাচ ধরে ধরে খেলব আমরা। দেশের মাটিতে আমরা সবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকি। এই দলটায় অনেকে আছে, যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। বেশিরভাগের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টেও আমাদের মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলবে। ’

গত অক্টোবরে নেপালে সিনিয়র সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের ছয় ফুটবলার আছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলে। ফাইনালে গোল করা শামসুন্নাহার জুনিয়রের ওপর দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের ভার। এছাড়া আলাদা করে নজর থাকবে আকলিমা খাতুনের ওপর। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া নারী ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করেছিলেন তিনি।

আকলিমাকে নিয়ে ছোটন বলেন, ‘আকলিমা এরই মধ্যে লিগে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ২৫ গোল করেছে। সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল। গত বছর জামশেদপুরে আমরা যে টুর্নামেন্ট খেলেছি, সেখানেও কিন্তু ভারত ও নেপালের বিপক্ষে তার গোল আছে। তখন কিন্তু একেবারেই তরুণ ছিল সে। তারপরও প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে গোল করেছিল। আমি মনে করি, লিগে ২৫ গোল করা এই টুর্নামেন্টের জন্য তার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। ’

উদ্বোধনী দিনে নেপালের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৫ ফেব্রুয়ারি ভারত এবং ৭ ফেব্রুয়ারি খেলবে ভুটানের বিপক্ষে।  

বাংলাদেশ দল
গোলরক্ষক:
রুপ্না চাকমা (সহ-অধিনায়ক), ইতি রানি, সাথী বিশ্বাস।
ডিফেন্ডার: সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, নাসরিন আক্তার, কোহাতি কিসকু, ইতি খাতুন, উন্নতি খাতুন।
মিডফিল্ডার: স্বপ্না রানি, সোহাগি কিসকু, মাহফুজা খাতুন, নওশন জাহান, মিস রুপা, রেহেনা আক্তার, শামসুন্নাহার (অধিনায়ক), হালিমা আক্তার।
ফরোয়ার্ড: শাহেদা আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন, আনিকা তানজুম, আইরিন খাতুন, আফরোজা খাতুন, সৌরভী আকন্দ প্রীতি।  

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।