ম্যানচেস্টার সিটির ওপর আর্থিক নিয়মভঙ্গের অভিযোগ এনেছে প্রিমিয়ার লিগ। টানা ৯ মৌসুমধরে একের পর এক আইন ভঙ্গ করেছে ক্লাবটি।
এছাড়া চার বছর ম্যানেজারের (কোচ) পারিশ্রমিকও পুরোপুরি খোলাসা করেনি সিটি। এই অভিযোগটি ২০০৯-১০ থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম নিয়ে। সেই সময়ে সিটির কোচ ছিলেন রবার্তো মানচিনি। লম্বা সময় ধরে তদন্তের পর বিষয়টি এক স্বতন্ত্র কমিশনের কাছে উল্লেখ করেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।
এক বিবৃতিতে আজ প্রিমিয়ার লিগ জানায়, ‘প্রিমিয়ার লিগের ডব্লিউ.৮২.১ আইন অনুযায়ী, সিটির ওপর আনা প্রিমিয়ার লিগের একাধিক নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগটি ডব্লিউ.৩.৪ আইনের অধীনে থাকে এক স্বতন্ত্র কমিশনের কাছে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশন প্রিমিয়ার লিগ ও বাকি ক্লাবগুলো থেকে স্বাধীন। প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম ডব্লিউ.১৯, ডব্লিউ.২০ ও ডব্লিউ.২৬ অনুযায়ী, জুডিশিয়াল প্যানেলের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান দ্বারা কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ করা হবে। ’
‘প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম ডব্লিউ.৮২ অনুযায়ী, কমিশনের আগামী কার্যক্রম ও শুনানি গোপনভাবে অনুষ্ঠিত হবে। প্রিমিয়ার লিগ ডব্লিউ ৮২.২ অনুযায়ী, কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ’
সিটির ওপর আরও অভিযোগ হলো, ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত উয়েফার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নিয়ম মেনে চলেনি তারা। ঠিক সে কারণেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি সিটিকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছিল উয়েফা। কিন্তু একই বছরের জুলাইতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে উঠে যায় সেই নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া তদন্তে সহযোগিতা না করারও অভিযোগ এনেছে প্রিমিয়ার লিগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এএইচএস