বিরতির আগে-পরের স্কোরলাইন দেখলে ভড়কে যাবেন যে কেউই। প্রথমার্ধে এক গোল খেলেও ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা দেখিয়েছিল আজমপুর ফুটবল ক্লাব উত্তরা।
আগের ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে লিগ শিরোপার লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় আকাশী-নীলরা। কেননা দুই দলের মধ্যকার দুরত্বটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯ পয়েন্টের। তবে হারের পর আজমপুরের বিপক্ষে এমন জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তির বাতাস বইছে ক্লাবটিতে।
ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে আবাহনীর একমাত্র গোলটি করেন ফাহিম। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে বক্সের ভেতর পিটার নওরার কাটব্যাক থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর আজমপুরকে কোনো পাত্তাই দেয়নি আবাহনী। ৫৪ মিনিটে রহমত মিয়ার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিংসলি। সেই ধাক্কা সামলে উঠার আগেই তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও এক গোল হজম করে আজমপুর। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নেওয়ার পর দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফাহিম। ৬১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের ভাসানো বলে হেড দিয়ে মাধ্যমে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান কিংসলিও।
তিন মিনিট পর জীবন নিজেই স্কোরশিটে নাম লেখান। বক্সের ভেতর ‘আনমার্ক’ অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাই তো নওরার পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। ৭৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফাহিম। ডানপ্রান্ত থেকে রহিম উদ্দিনের বাড়ানো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি রাকিথ সরকার। সেই সুযোগে বলে টোকা মেরে আবাহনীকে আরও একবার গোলের উৎসবে ভাসান ফাহিম। তার মতো কিংসলিও হ্যাটট্রিকের স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখেননি। যোগ করা সময়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে জালের দেখা পান এই ফরোয়ার্ড।
বসুন্ধরা কিংসের ধারেকাছে না থাকলেও, বড় জয়ের পর টেবিলের দ্বিতীয়তে থাকার জায়গাটা আরও মজবুত করল আবাহনী। ১০ ম্যাচ শেষে মারিও লেমোস শিষ্যদের সংগ্রহ ২১ পয়েন্ট। অন্যদিকে লিগেও এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া আজমপুর ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে একদম তলানিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩
এএইচএস