ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

চলে গেলেন বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২৩
চলে গেলেন বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করা ফুটবলার

১৯৫৮  বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উঠলেই অবধারিতভাবে চলে আসে পেলের নাম। ফুটবল সম্রাটের ইতিহাস লেখার শুরুটা তো এখান থেকেই! তবে ফুটবল নিয়ে যারা বেশি ঘাটাঘাটি করেন, তাদের জুস্ত ফঁতেইনের নামও মনে থাকার কথা।

কেননা সেই বিশ্বকাপে ১৩ গোল করে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। ফরাসি এই ফুটবলারের কীর্তি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর বিশ্বকাপ হলেও ফঁতেইনের ১৩ গোলের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি কেউই। সেই ফঁতেইন আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।  

পেলের মৃত্যুর পর দুই মাসের ব্যবধানে আরও এক কিংবদন্তিকে হারালো ফুটবল। মৃত্যুকালে ফঁতেইনের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তার মৃত্যুতে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী হেড কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, 'ফঁতেইনের মৃত্যু আমাকে ব্যথিত করেছে। যারা ফুটবল ও আমাদের জাতীয় দলকে ভালোবাসে তাদের সকলকেই ভারাক্রান্ত করবে এই মৃত্যু। '

১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ফ্রান্সের জার্সিতে ২১টি ম্যাচ খেলেছেন ফঁতেইন। গোল করেছেন ৩০ টি। এই সময়ে বিশ্বকাপ কেবল একবারই খেলা হয়েছে তার।  সুইডেনে অনুষ্ঠিত ১৯৫৮'র বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনাল খেলেছিল ফ্রান্স। যদিও ব্রাজিলের কাছে ৫-২ গোলে হেরে ফাইনালে উঠা হয়নি তাদের। তবে ফঁতেইনের কাছে আসরটি ছিল স্বপ্নের মতো। সেই আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। জোড়া গোল করেন যুগোস্লাভিয়া ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। একটি করে গোল আসে স্কটল্যান্ড ও ব্রাজিল ম্যাচে। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে একাই করেন চার গোল।  

সতীর্থদের কাঁধে ফঁতেইন

সেই সময় শুধু এক আসর নয় বিশ্বকাপের পুরো ইতিহাস মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন ফঁতেইন। তার সেই রেকর্ড ভেঙেছিলেন দুটি বিশ্বকাপ খেলা জার্মান কিংবদন্তি গার্ড মুলার। এখন অবশ্য রেকর্ডটি আরেক জার্মান কিংবদন্তি মিরোস্লাভ ক্লোসার দখলে। চার বিশ্বকাপ খেলে ১৬ গোল করেছেন তিনি।

জাতীয় দলের মতো ক্লাব ফুটবলেও ফঁতেইনের দাপট ছিল অসামান্য। প্রথম তিন বছর নিসের হয়ে খেলে ৮৪ ম্যাচে করেন ৫১ গোল। এরপর যোগ দেন স্তাদ দ্য রাসে। ক্লাবটিতে ফঁতেইনের পরিসংখ্যান দেখলে এখনো চোখ কপালে উঠে যায় যে কারও। ১৫২ ম্যাচে ১৪৫ গোল করার পাশাপাশি তিনটি লিগ শিরোপা জেতেন এই ফরোয়ার্ড। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপের (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনালে খেললেও হেরে যান রিয়াল মাদ্রিদের কাছে।

ইনজুরির কারণে ফঁতেইনকে ক্যারিয়ারের শেষ টানতে হয় মাত্র ২৮ বছর বয়সেই।  ১৯৬৭ সালে ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হন তিনি। কিন্তু দুটি প্রীতি ম্যাচের পরই সম্পর্কে ছেদ পড়ে। একবছর পর যোগ দেন লুচোনে। সেখানেও দুটি মৌসুম কাটাতে পারেননি। এরপর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত ছিলেন পিএসজির দায়িত্বে। তার অধীনেই প্রথম ডিভিশনে খেলার সুযোগ পায় ক্লাবটি। পিএসজি ছেড়ে এক মৌসুম ছিলেন তুলুসের ডাগআউটে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত মরক্কোর কোচ ছিলেন ফঁতেইন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এএইচএস   
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।