আগামী ২০-২৮ মার্চ ঢাকায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট চলবে। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভুটান, ভারত, নেপাল ও রাশিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা জাতীয় ফুটবল দল অংশগ্রহণ করবে।
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া পাঁচ দলের মধ্যে র্যাংকিংয়ের বিচারে বাংলাদেশ চতুর্থ অবস্থানে। র্যাংকিংয়ের দিকে সবচেয়ে উপরে রয়েছে রাশিয়া (২৬) এরপর যথাক্রমে রয়েছে ভারত (৬১), নেপাল (১০৩), বাংলাদেশ (১৪০), ভুটান (১৭৭)। ইউরোপের দলটিই এবারের আসরে সবচাইতে কঠিন প্রতপিক্ষ বাংলাদেশের।
অন্যদলগুলো বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে খেলার এবং জয়ের অভিজ্ঞতা আছে ছোটনের শিষ্যদের। তবে অচেনা প্রতিপক্ষ রাশিয়ার বিপক্ষে জয় কিংবা পরাজয় নিয়ে ভাবছেন না ছোটন। তার মতে, রাশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পরাজয় ছাপিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনটাই মুখ্য।
ছোটন বলেন, ‘সাউথ এশিয়ার দলগুলোর সাথে খেলে অভ্যস্ত। এবার রাশিয়া যোগ হয়েছে, এটা আমাদের মেয়েদের জন্য বিরাট সুযোগ বলে আমি মনে করি। তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। বিরাট সুযোগ যে আমরা ইউরোপের দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। রাশিয়া শক্তিশালী। আমাদের মেয়েরাও প্রস্তুত তাদের বিপক্ষে লড়াই করার জন্য। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় যে স্ট্যান্ডার্ডে খেলি আর ইউরোপের স্ট্যান্ডার্ড তো এক নয়। রাশিয়ার বিপক্ষে খেললে অবশ্যই আমরা কোন স্ট্যান্ডার্ডে আছি, সেটা বেরিয়ে আসবে। তবে এখানে আমাদের ভালো দিক, আমাদের মেয়েরা যে প্রতিনিয়ত পারফরম করছে, আমাদের কোথায় উন্নতি হয়েছে এবং ভালো টিমগুলোর সঙ্গে খেলতে গেলে কোথায় উন্নতি করা উচিৎ, সেটা আমরা ভালোভাবে জানতে পারব। ইউরোপের একটা দলের বিপক্ষে খেলব-এটা ভেবে মেয়েরা রোমাঞ্চিত, চাপ অনুভব করছে না। ’
কোচের মত একই সুরে কথা বললেন দলের অধিনায়ক জয়নব বিবি রিতা। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া হচ্ছে ইউরোপের দল। ওদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করছি, ভালো কিছু করব। যেহেতু ফুটবল, হার-জিত আছেই। এটা মাঠেই দেখা যাবে, আমরা লড়াই করব, চেষ্টা করব জেতার। ’
সোমবার উদ্বোধনী দিনে ভূটানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২২ মার্চ রাশিয়া, ২৪ মার্চ ভারত ও ২৮ মার্চ নেপালের মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৩
এআর/এএইচএস