চলতি বছরের তিন মাসও পেরোয়নি। আর এর মধ্যেই তিনটি এল ক্লাসিকো হয়ে গেল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে এটি বার্সার শততম জয়। তাতে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষস্থান ধরে রাখল বার্সা। ২৬ ম্যাচ শেষে তাদের সংগ্রহ ৬৮ পয়েন্ট। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল। ক্যাম্প ন্যুতে লস ব্লাঙ্কোসরা অনন্য কিছু করতে পারলে শিরোপা লড়াই বেশ জমে উঠত। কিন্তু তাদের হারিয়ে শিরোপা একরকম প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে বার্সা।
ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যে রিয়ালকে দুইবার গোলের হাত থেকে বাঁচান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। যদিও নবম মিনিটে রিয়াল নিজেই এগিয়ে যায়। তবে এখানে ভুলটা বার্সারই বেশি বাঁ প্রান্ত থেকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট বার্সা ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহোর মাথা ছুঁয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেয়। আত্মঘাতী এক গোল হজম করে স্তব্ধ হয়ে পড়ে স্বাগতিক দর্শকরা।
তবে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়ে বার্সা। বিরতির একদম আগমুহূর্তে সমতাসূচক গোলটি পায় কাতালানরা। ৪৫ মিনিটে রাফিনিয়ার শট ব্লক করে ফিরিয়ে দেন রিয়াল ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুদিগার। কিন্তু ফিরতি বলে শট নিয়ে বার্সাকে সমতায় ফেরান সের্হি রবার্তো।
বিরতির পরও রিয়ালের ওপর চাপ অব্যাহত রাখে বার্সা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পরও মনে হচ্ছিল ড্র-ই হবে ম্যাচ। কিন্তু ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে দারুণ এক গোল করে বার্সাকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন ফ্রাঙ্ক কেসি। বাঁ প্রান্ত থেকে আলেহান্দ্রো বালদের অ্যাসিস্ট থেকে প্রথম শটেই বল জালে জড়ান তিনি। এর আগে অবশ্য মার্কো আসেনসিওর হাত ধরে জালের দেখা পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু আসেনসিও অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় সেই গোল।
জয়ের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জাভি বলেন, ‘লিগ এখনো নির্ধারণ হয়ে যায়নি, তবে অবশ্যই এটা বড় জয়। আমি মনে করি জয় আমাদের প্রাপ্য এবং আমরা রিয়ালের চেয়ে ভালো ছিলাম। তাদের চেয়ে আমরাই বেশি সুযোগ তৈরি করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এএইচএস