প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকা চেলসিই কি না চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। সমীকরণটা মেলাতে পারছিলেন না অনেকেই।
লা লিগার শিরোপা দৌড়ে বার্সার চেয়ে অনেকটাই ধরা ছোঁয়ার বাইরে রিয়াল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগের সুবাস পেলেই যেন রক্তটা বদলে যায় তাদের। তাই সবশেষ লিগ ম্যাচে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে হার কোনো প্রভাবই ফেলতে পারেননি। নিজেদের মাঠে করিম বেনজেমা ও মার্কো আসেনসিওর গোলে দারুণ এক জয়ে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রাখল তারা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২১ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। ডি বক্সের কিছুটা দূর থেকে কার্ভাহালের চিপে পা ছোঁয়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সেই আলতো শট ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক কেপা। তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি নিজের দলকে। বল পায়ের কাছে পেয়ে ফিরতি শটে ঠিকই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন বেনজেমা। ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে এনিয়ে ২০ গোল করলেন তিনি। ২৭ গোল নিয়ে সবার উপরে আছেন লিওনেল মেসি।
প্রথমার্ধে এরপর আর যে কয়টি আক্রমণ হয়েছে, তার বেশিরভাগই রিয়ালের করা। বিপরীতে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল চেলসি। বিরতির পরও ইংলিশ ক্লাবটির খেলায় খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। বল কেবল রিয়ালের দখলেই ছিল। এরই মধ্যে ১০ জনের দলে পরিণত হয় চেলসি। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে রদ্রিগোকে টেনে-হিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বেন চিলওয়েল।
একজন বেশি নিয়ে খেলার সুযোগ ঠিকই লুফে নেয় রিয়াল। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কো আসেনসিও। কেবলমাত্র তিন মিনিট আগেই বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নিখুঁত পাসের বিনিময়ে দারুণ এক গোল আসে এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের পা থেকে। বাকানো নিচু শটে দারুণভাবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। বাকিটা সময়ও গোলের সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
রাতের আরেক কোয়ার্টার ফাইনালে নাপোলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। সানসিরোতে একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ইসমাইল বেনাসিরের পা থেকে। এদিকে ফিরতি লেগে আগামী ১৮ এপ্রিল রিয়ালকে আতিথ্য দেবে চেলসি। একইভাবে স্বদেশি নাপোলির মুখোমুখি হবে এসি মিলান।
বাংলাদেশ সময়ঃ ০২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
এএইচএস