বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আজ থমথমে অবস্থা। গতকালই ফিফার নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
আজ বাফুফে ভবনে কর্মকর্তাদের খুব একটা আনাগোনা নেই বললেই চলে। উপস্থিত যারাই আছেন, এড়িয়ে চলছেন সাংবাদিকদের। সংবাদ সম্মেলনে ঠিকভাবে কথা বললেন না বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও। এক ফাঁকে বাফুফে ভবনে সোহাগের রুমের নামফলকও তুলে ফেলা হয়েছে। তবে নামফলক খুলে ফেলার আগে ও পরে বাফুফে ভবনে দেখা মেলেনি সোহাগের। বাফুফের কেউ নামফলক খুলে ফেলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি।
গতকাল (১৪ এপ্রিল) বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ফুটবল বিশ্বের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তবে ফিফার নিষেধাজ্ঞা ত্রুটিপূর্ণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক বলে মন্তব্য করেছেন সোহাগের আইনজীবী আজমালুল হোসেন। সোহাগ নিজেও জানিয়েছেন দ্রুতই সত্য সকলের সামনে আসবে।
আজ (১৫ এপ্রিল) সোহাগের আইনজীবী আজমালুল হোসেনের প্যাডে একটি ‘বিবৃতি’ ক্রীড়াঙ্গনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফরোয়ার্ড করেন সোহাগ। বিবৃতিতে তিনি জানান, ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত কোর্ট অব অরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে আপিল করবেন।
আইনজীবীর প্যাডে দেয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফিফা আরেকটু কথা বলে ব্যাপারটি মেটাতে পারতো। এমন নিষেধাজ্ঞাকে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করেন। এছাড়া ফিফা যে অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে অভিযোগ করেছে সেটা সংস্থাটিকে আগেই জানানো হয়েছে, চিঠি নেওয়া হয়েছে, দ্রব্যাদির দাম সব কিছু ঠিকঠাক জেনে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। ফিফার অনুমতি ছাড়া কোনো কিছুই করেননি সোহাগ এমনটাই দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
এআর/এমএইচএম