আর্থিক অনিয়মের কারণে দুই বছরের জন্য আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। কিন্তু সোহাগের দোষ কোনোভাবেই নিজের ঘাড়ে চাপাতে চান না বাফুফের ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বাফুফের ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা একমাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। দুর্নীতি নিয়ে মুর্শেদী বলেন, ‘কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। কোনো একটা জিনিস ক্রয় করতে গিয়ে সে (সোহাগ) তা সঠিকভাবে করেনি, তাই তদন্ত করেছে ফিফা। জালিয়াতি হলে সে ব্যক্তিগতভাবে করেছে। সে বলেছে, সে অর্থ একটা জায়গায় পাঠিয়েছে কিন্তু এটা বাংলাদেশের ফুটবল ফেডারেশনের নয়। ফিন্যান্স কমিটির কোনো সম্পর্ক নেই। সে যদি সঠিকভাবে করত তবে নিষিদ্ধ হতো না। ’
দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক এ ঘটনার দায়ভার নিতেও রাজি নন মুর্শেদী, ‘না না, আমরা কোনো দোষ নেব না। আমরা বলব, সে সঠিকভাবে কাজ করেনি। এএফসি, ফিফা থেকে নিয়মিত চিঠি আসে আমাদের কাছে। কিন্তু এই ব্যাপারটা হয়তো সেভাবে পড়েনি। সে তার ক্ষমতা সঠিক ব্যবহার করেনি, সে কারণে আর এই জায়গায় পুনঃস্থাপিত করা হবে না। এই সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হয়েছে। ’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজী সালাউদ্দিনের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত কি না, এমন প্রশ্নে হেসে সালাম মুর্শেদীর উত্তর, ‘অনেক ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাংলাদেশের একমাত্র ফেডারেশন, যেটা বহির্বিশ্বের তত্ত্বাবধানে নির্বাচিত হয়। এখান থেকে কারও চলে যাওয়া বা নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। ’ তবে পরমুহূর্তে তিনি আবার বলেছেন, ‘...নিজে যদি না চলে যান। ’
এদিকে সোহাগ নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইমরান হোসেন তুষার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এআর/এএইচএস