জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নির্বাহী সভা ছিল আজ। এই সংগঠন ফোরাম নামেই বেশি পরিচিত সকলের কাছে।
ফুটবল ফেডারেশনে জেলার কর্মকর্তা রয়েছেন তিনজন নোয়াখালীর ওয়াদুদ পিন্টু, সিলেটের মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম ও খুলনার অ্যাডভোকেট সাইফুল। সিলেটের মহিউদ্দিন সেলিম খানিকটা সক্রিয় থাকলেও অন্য দুই জন নির্বাচিত হওয়ার পর একেবারে নিষ্ক্রিয়। নির্বাহী কমিটির একাধিক সভাতেও সাইফুল ও পিন্টু অনুপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও বিভাগীয় সংগঠক পরিষদের সভাপতি আজম নাসির বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ফুটবলটাকে যেভাবে কলঙ্কিত করা হয়েছে, এটা নিয়ে সবাই কথা বলেছেন। তাছাড়া আমাদের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের যারা বাফুফেতে আছেন তারা বিভিন্ন সময়ই অভিযোগ-অনুযোগ করে আসছেন। যেখানে তাদের কথার কোনো মূল্য নেই, কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না তৃণমূল ফুটবলের বিষয়ে। ’
‘বাফুফে থেকে ইতোমধ্যেই পদত্যাগ করা আরিফ হোসেন মুনও ছিল আজকের সভায়। তিনিও একই কথা বলেছেন। সব মিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের কমিটিতে আমাদের জেলা ও বিভাগ থেকে যারা আছেন তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হবে। ফুটবলের সাম্প্রতিক বিষয় ও আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে খুব শীঘ্রই সাংবাদিক সম্মেলন করব। ’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন মো আলমগীর বলেন, ‘ আমরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা জেলা ও বিভাগীয় সংগঠকদের মধ্য থেকে বাফুফেতে নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হবে। তারা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া না দিলে ব্যক্তিগতভাবে সামনে আর কোনো ফেডারেশনের নির্বাচনে আমাদের সমর্থন পাবেন না এবং সংশ্লিষ্ট জেলা-বিভাগও আমাদের সাথে থাকতে পারবে না। ’
তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই সংগঠক, ‘তারা আমাদের সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছে জেলা ফুটবলে কাজের জন্য। আজ জেলা ফুটবল স্থবির। তাদের কথা বলার সুযোগ নেই আবার কাজও করতে পারছে না ফলে সেখানে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এআর/এএইচএস