বহু বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে আর্জেন্টিনার। কাতারে এসে বিশ্বকাপ জিতেছে তারা।
বিশ্বকাপ জয়ের স্কালোনির প্রতিক্রিয়া হৃদয় কেড়েছে সবার। গনসালো মন্তিয়েলের নেওয়া পেনাল্টি শটে গোল হওয়ার পর ফাইনাল জেতা নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। এরপর সবাই যখন উদযাপনে ব্যস্ত, তখন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্কালোনি। ফিফা ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই মুহূর্তেই ফিরে গেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা কোচ বলেছেন, আমি ৩০ সেকেন্ড ওভাবে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখলাম আমাদের সবাই উদযাপন করছে। এখনও খুব রোমাঞ্চিত হই, আমার মনে হয় ওই মুহূর্তটা আলাদা। এটা অমূল্য...তাদের সবাইকে উদযাপন করতে দেখা; আমার খেলোয়াড়ি ও কোচিং জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ৩০ সেকেন্ড পুরো জীবন ধরে আগলে রাখবো। ’
ফাইনাল জেতা অবশ্য সহজ ছিল না আর্জেন্টিনার জন্য। ফ্রান্সের সঙ্গে শুরুতে দারুণ ফুটবল খেলছিল তারা, এগিয়ে গিয়েছিল দুই গোলে। পরে সেটি শোধ হয় সেটি। আবারও আলবিসেলেস্তেরা এগিয়ে গেলেও সমতা ফেরায় ফ্রান্স। ৩-৩ ব্যবধানে অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ভীষণ চাপের ওই সময়ে পেনাল্টি নিতে ফুটবলারদের রাজি করানোও কঠিন।
স্কালোনি অবশ্য বলছেন আর্জেন্টিনা দলে ছিল ভিন্ন চিত্র, ‘আমরা যখন খুঁজতে গিয়েছি, কে পেনাল্টি নেবে- অনেকেই নিতে চাচ্ছিল। আমাদের সবসময়ই এমন ফুটবলার ছিল যারা পেনাল্টি নিতে চাইতো। ওগুলো সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। যখন গোলবারের পেছনে মানুষ থাকবে...স্টেডিয়ামে ৮০ হাজার মানুষ। তখন এটা অনুশীলনে পেনাল্টি নেওয়ার মতো না। ’
বিশ্বকাপের শুরুটাও ভালো হয়নি আর্জেন্টিনার জন্য। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় তারা। এরপর প্রতিটি ম্যাচেই জিততে হতো আলবিসেলেস্তেদের। সৌদি আরবের কাছে ওই হার তাদের জন্য ইতিবাচক হয়েছে বলেই দাবি স্কালোনির।
তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারি হয়তো ওই হারটা আমাদের জন্য ইতিবাচক হয়েছে কারণ আমার মনে হয় এটা দলকে নতুন একটা লক্ষ্য দিয়েছে। সবকিছু দিয়ে খেলতে হতো তখন আর হয়তো এটা আমাদের এপ্রোচ বদলাতেও বাধ্য করেছে। দল ও স্কোয়াড দেখিয়েছে তারা যেকোনো কিছুর জন্য তৈরি। ’
বাংলাদেশ সময় :
এমএইচবি