ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

১৪ বছর পর আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
১৪ বছর পর আবাহনী-মোহামেডান ফাইনাল

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ১৪ বছর পর মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান। সবশেষ ২০০৯ সালে মুখোমুখি হয়েছিল তারা।

সেবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল মোহামেডান।  

ফেডারেশন কাপে ১৪ বছর পর ফাইনালে দেখা হলেও সব মিলিয়ে ১২ বছর পর কোনো ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে এই দুই দল। ২০১১ সালের সুপার কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল আবাহনী।

দেশের ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানেই বাড়তি আকর্ষণ, বাড়তি উত্তেজনা। এই ম্যাচ ঘিরে সকলের উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে। সেই লড়াই যদি হয় কোনো আসরের ফাইনালে তবে তা আনন্দের উপলক্ষ্য আরও বাড়িয়ে দেয়। আজ কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আবাহনী।  

গ্রুপ পর্বে শেখ রাসেলের কাছে হেরেছিল আবাহনী। সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো মারিও লেমোসের শিষ্যরা। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মোহামেডান। আজ তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম লেখালো আবাহনী।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ ফুটবল খেললো শেখ রাসেল। একের পর এক আক্রমণ করে আবাহনীর রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। তবে গোলের দেখা মেলেনি তাদের। আট মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত দলটি। ফাঁকা বারে বল জালে জড়াতে পারেননি এমফন উদো।  

ম্যাচের ১২তম মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন শেখ রাসেলের এমফন। বক্সের ভেতর বল নিয়ে ঢুকে পড়েন তিনি। তবে পোষ্টে নেয়া শট ফিরিয়ে দেন শহিদুল আলম। প্রথম দিকে গোলের সুযোগ মিস করা রাসেলকে এর খেসারত দিতে হয়েছে পুরো ম্যাচেই।  

ম্যাচের ২০তম মিনিটে আবাহনীর ভুল পাস থেকে বল পান কেনেথ ইকেচুকু। দ্রুত গতিতে বক্সের দিকে এগিয়ে যাওয়া ইকেচুকুকে পেছন থেকে ফাউল করেন হৃদয়। সেখানে রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজালেও কার্ড না দেখানোর সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন ফুটবলাররা। এরপর ইকেচুকুর ফ্রি-কিক ফার পোষ্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।

৩০তম মিনিটে দারুন সুযোগ তৈরি করেছিলেন ইব্রাহিম। বক্সের ডান প্রান্তে অ্যান্ড্রুর থ্রু বল পান তিনি। বক্সে সতীর্থদের উদ্দেশ্যে ক্রস করেন। তবে তার আগেই তালুবন্দী করেন আবাহনীর গোলরক্ষক। ৩৬তম মিনিটে ইব্রাহিমের পাস থেকে বল পেয়ে যান এমফন উদো। আবাহনীর ডিফেন্ডারদের ফাকি দিয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন তিনি। তবে সেটি ফিরিয়ে দেন শহিদুল আলম।

ম্যাচে খুব একটা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আবাহনী। তবে পুরো ম্যাচের তাদের ভুল ছিল খুবই কম। নুন্যতম সুযোগও গোলে রূপান্তর করেছেন মারিও লেমোসের শিষ্যরা। ৩৮তম মিনিটে রেজাউর রেজার লং পাস ধরে ডি বক্সে ঢুকে যান দানিয়েল কলিনদ্রেস। বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে দেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করে আবাহনী। রাফায়েল আগুস্তো বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে, কাট ব্যাক করে বল দেন সতীর্থ ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ব্যবধান বাড়াতে কোনও ভুল করেননি তিনি। প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান ফাহিম।

৭০তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান প্রান্ত থেকে উঁচু করে শট নেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। ঝাপিয়ে পড়ে বল ফেরাতে চেষ্টা করনে শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। তবে সফল হননি তিনি। আবাহনী এগিয়ে যায় ৩-০ গোলে।

৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতো আবাহনী। তবে কলিনদ্রেসের শট বার পোষ্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও স্কোর বোর্ডে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আগামী ৩০ মে ফাইনালে কুমিল্লায় মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আবাহনী ও মোহামেডান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।