বুন্দেসলিগা মানেই যেন বায়ার্ন মিউনিখের রাজত্ব। সেটাই এবার পড়েছিল হুমকির মুখে।
শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে ৩৩ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট ছিল ডর্টমুন্ডের। দুই পয়েন্ট কম ছিল বায়ার্নের। তাই চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। পাশাপাশি ডর্টমুন্ডকে হার বা ড্র করতে হতো। দিনশেষে ঠিক সেটাই হয়েছে যেমনটা চেয়েছিল বায়ার্ন। শিরোপার এতো কাছে এসে খেই হারালো ডর্টমুন্ড। শেষ ম্যাচে মেইঞ্জের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে তারা।
দুটি ম্যাচই শুরু হয়েছিল একই সময়ে। কোলনের মাঠে ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। লেরয় সানের পাস থেকে ডান দিকের কোণা দিয়ে দারুণ এক গোল করেন কিংসলি কোমান। অন্যদিকে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ২৪ মিনিটের ভেতরই ২-০ গোলে পিছিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ঘরের মাঠে অচেনা লাগছিল তাদের। বারবারই খেই হারিয়ে ফেলেছিল গোলমুখের সামনে গিয়ে। একের পর এক সহজ গোল মিস করে তারা। তাই পিছিয়ে থেকেই শেষ করে প্রথমার্ধ।
বায়ার্ন অবশ্য এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে কোলোন। চেষ্টা করে ডর্টমুন্ডও। ৬৯ মিনিটে এক গোল শোধ করে রাফায়েল গেরেরো। তাতেই যেন প্রাণ ফিরে পায় ইদুনা পার্ক। রেইনএনার্জিএস্তাদিওনে ম্যাচের ৮১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে কোলোন। পুরো ইদুনা পার্ক তখন উল্লাসে ফেটে পড়ে। কারণ বায়ার্ন যদি ড্র করে তখন হারলেও তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। ১১ বছর পর যখন লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা, ঠিক তখনই তাদের কাছে খলনায়ক রূপে ধরা দেন জামাল মুসিয়ালা। ৮৯ মিনিটে নিচু কর্নার দিয়ে তার নেওয়া শট থেকেই জয়সূচক গোলটি পায় বায়ার্ন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। ঠিকই হাতে এসে ধরা দেয় টানা ১১তম ও সবমিলিয়ে ৩৩তম শিরোপা।
অন্যদিকে যোগ করা সময়ে ডর্টমুন্ড এক গোল শোধ করলেও তা কোনো কাজে আসেনি। ৩৪ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকেই লিগ শেষ করতে হয় তাদের। পুরো লিগে ৮৩ টি গোল দিলেও হজম করেছে ৪৪টি। অন্যদিকে ৩৮ গোল হজম করার বিপরীতে প্রতিপক্ষের জালে বায়ার্ন বল ফেলেছে ৯২ বার। ইউলিয়ান নাগেলসমানের ছাঁটাইয়ের পর দলটিকে নিয়ে কিছুটা পথ হারিয়ে ফেলেন টমাস টুখেল। শেষে এসে এমন নাটকীয়তার পর এখন হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এএইচএস