মোহামেডান-আবাহনীর ধ্রুপদী লড়াই দেশের ফুটবলের এল ক্লাসিকো। ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে দুই ঐতিহ্যবাহী দল।
ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দিতে চান না কোচ মারিয়ো লেমস। কলিন্দ্রেস, নাঈম, সোহেলদের নিয়ে অলআউট খেলার পরিকল্পনা তার। লেমোস বলেন, ‘মোহামেডান দারুণ এক দল। আমাদের জন্য একটা কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে। ডার্বি ম্যাচ সবসময়ই বিশেষ কিছু। আমাদেরকে নিজেদের সেরাটাই ঢেলে দিতে হবে। তাদের আক্রমণভাগটা বেশ ভালো। ইম্যানুয়েল আর দিয়াবাতেকে নিয়ে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। ’
‘মোহামেডান এমন একটা দল, যাদের আপনি কোনো সুযোগই দিতে চাইবেন না। কারণ তারা যে কোনো সময় গোল করে বসতে পারে। আমাদেরকে মনোযোগটা ধরে রাখতে হবে সবসময়, গোছানো ফুটবল খেলতে হবে। ’-যোগ করেন লেমোস।
গত মার্চের শুরুতে বড্ড টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হাল ধরেন আলফাজ আহমেদ। মাস দুয়েকের মাথায় তার হাত ধরে ২০১৪ সালের পর কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল সাদা-কালো জার্সিধারীরা। তাও আবার ঘরোয়া ফুটবলের শক্তিশালী দল বসুন্ধরা কিংসের বাধা ডিঙিয়ে। এবার তার চোখ শিরোপায়। দুই দলেরই শিরোপা জয়ের সমান সম্ভাবনা দেখছেন আলফাজ। চাপ শামলে নেওয়ার ক্ষমতাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে বলে মনে করেন তিনি। আলফাজ বলেন, ‘আবাহনী সমীহ জাগানিয়া দল। তবে খেলার মাঠে নামার আগে কোনো শক্তি বোঝা যায় না। খেলায় যে ফিটনেস ঠিক রাখতে পারবে, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকতে পারবে, যে ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। ’
বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মোহামেডান। ঘরোয়া ফুটবলের সেরা ক্লাবকে টপকে ফাইনালে ওঠা মোহামেডানকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে জানিয়েছেন আলফাজ। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরাকে হারানোটা বড় একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমরা যদি বসুন্ধরাকে হারাতে পারি, যারা বাংলাদেশের সেরা দল, তাহলে আবাহনীকে হারানোর ক্ষমতাও রাখে। তবে এটা মাঠে খেলোয়াড়দের খেলার ওপর নির্ভর করছে। সঙ্গে ভাগ্যটাকেও পাশে পেতে হবে। ’
আবাহনীর আক্রমণ ভাগ নিয়ে সতর্ক আলফাজ। তাদের নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচ। তিনি বলেন, ‘তাদের রাফায়েল আগুস্তো, কলিন্দ্রেসরা আক্রমণে আছেন। তাদের নিয়ে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতেই হবে। ’
ফেডারেশন কাপে ১০ ট্রফির সবশেষটি ২০০৯ সালে জিতেছিল মোহামেডান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ তারা শিরোপার স্বাদ তারা পেয়েছিল ২০১৪ সালে; স্বাধীনতা কাপ জিতে। এরপর কোনো আসরে ফাইনাল খেলতে পারেনি তারা।
মুখোমুখি লড়াইয়ে মোহামেডানের থেকে এগিয়ে আবাহনী। পেশাদার লিগে ৩১ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। ১৫ ম্যাচে জয় পেয়েছে আবাহনী। মোহামেডানের জয় পাঁচ ম্যাচে। ড্র হয়েছে ১১ ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এআর/আরইউ