দাপুটে জয় দিয়ে এশিয়া সফর শেষ করল আর্জেন্টিনা। প্রথমে চীনের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা।
আজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। চীনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। তার সঙ্গে ফিরে গেছেন আনহেল দি মারিয়া ও নিকোলাস ওতামেন্দিও। সবমিলিয়ে এক বছর পর মেসিকে ছাড়া খেলতে নামা দলটিকে আজ নেতৃত্ব দিয়েছেন সেন্টার-ব্যাক হেরমেন পেসেলা। এর আগে ২০১৯ সালে মরক্কোর বিপক্ষে এক ম্যাচে মেসির অবর্তমানে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন তিনি।
আজ মেসির পজিশনে তরুণ ফরোয়ার্ড ফাকুন্দো বোনানতেকে নামান স্কালোনি। স্ট্রাইকিং পজিশনে হুলিয়ান আলভারেস। আর বাম পাশে আক্রমণের দায়িত্বে নিকোলাস গনজালেস। তবে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দল নিয়েও ক্ষণে ক্ষণে ইন্দোনেশিয়ার রক্ষণ কাঁপায় আর্জেন্টিনা। আক্রমণের তোড়ে একপ্রকার ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা।
আর্জেন্টিনা প্রথম বড় সুযোগ পায় ২৮তম মিনিটে। ফাকুন্দো তেড়েফুঁড়ে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের রক্ষণে, ড্রিবল করে গোলরক্ষককে পাশ কাটিয়ে তিনি বাঁ পায়ে শটও নেন, কিন্তু গোললাইন থেকে সেভ করেন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার উইলিয়াম টিও। ফিরতি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হুলিয়ান আলভারেস। তবে মিনিট দশেক পরেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদ করেন পারেদেস। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের ছোঁয়া পাননি।
৩৯তম মিনিটে আক্রমণে উঠে আসেন মেসির জায়গায় খেলা ফাকুন্দো বোনানতে। কিন্তু তার বাঁ পায়ের শট অল্পের জন্য কাছের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৪৮তম মিনিটে প্রথমবার পরীক্ষার মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। তবে তার হাত ফাঁকি দিতে পারেননি ইন্দোনেশিয়ার ফরোয়ার্ড দিমাস রাজাদ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণের খোলস ছেড়ে আক্রমণের চেষ্টা চালায় ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। উল্টো এর মিনিট তিনেক পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সফরকারীরা। এবার রোমেরোর হেডে বল জড়িয়ে যায় জালে। শেষদিকে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার সামনে। থিয়াগো আলমাদার পাসে বলে পেয়ে শট নিয়েছিলেন গারনাচো। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ উইঙ্গারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। এরপর আর বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি কোনো দলই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমএইচএম