দিনটি এমনিতেই ছিল লিওনেল মেসির জন্মদিন। সেটি যেন আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে তার জন্য।
ম্যাচটিতে জাতীয় দলের হেড কোচ লিওনেল স্কালোনিও ছিলেন ফুটবলার। খেলেছেন সাবেক ও বর্তমান অনেক আর্জেন্টাইন তারকা। জন্মদিনে মেসি আসবেন কি না এমন অনিশ্চতার পর তিনি আসলে বাধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। এই ম্যাচের পর কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন তারকা।
তিনি বলেন, ‘সত্যিটা হচ্ছে এখানে সুন্দর একটা দিন কাটলো। যারা এখানে এসেছেন, বিশেষ করে আজকের দিনটা ম্যাক্সির ছিল। অনেকদিন পর পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আমি রোজারিওতে জন্মদিন কাটালাম। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে এটা প্রথম জন্মদিন ছিল, তাই একটু স্পেশালও। রোজারিওতে থাকা অবশ্য সবসময়ই তাই। ’
‘আমি আগেও যেমন বলেছি, এবার আমাদের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পালা ছিল। কিন্তু অনেক দারুণ খেলোয়াড়ই খেলে গেছে, জাতীয় দলের জন্য তারা দারুণ কিছুও করেছে; যদিও তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। ’
মেসির জন্মের পর বেশি লম্বা সময় থাকতে পারেননি রোজারিওতে। তবে ফুটবলের হাতেখড়ি নিউ সাউথ ওল্ড বয়েজের হয়েই। পরে ৯ বছর বয়সে পাড়ি জমান স্পেনের বার্সেলোনায়। তবুও রোজারিওর মানুষের ভালোবাসা টের পান বলে জানিয়েছেন মেসি।
তিনি বলেন, ‘রোজারিওতে আসা সবসময়ই সুন্দর ব্যাপার, নিউওয়েলস ও সেন্ট্রাল দুই জায়গার মানুষই আমাকে পছন্দ করে। কিছুদিন আগেই আমরা সেটি পেয়েছি, যেটা সব আর্জেন্টাইন ঐক্য, চেষ্টা ও ত্যাগের বিনিময়ে পেতে চেয়েছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পুরো দেশকে সুন্দর কিছু দিতে পেরেছি। ’
‘এসব এখানেই থামবে না, যদিও আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে বিশেষ ও আলাদা কিছু করেছি। এটা সব ফুটবলারের একদম ছোটবেলার স্বপ্ন থাকে, এটাই সেরা। আমার ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসই জিতেছি কিন্তু তারা পেছনেই পড়ে থাকবে। যখন আমি ফুটবল ছাড়বো, সবকিছু মনে থাকবে আর যা কিছু অর্জন করেছি উপভোগ করবো। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৮ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০২৩
এমএইচবি