বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের বেঙ্গালোরের শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে কুয়েতের মুখোমুখি হয়ছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে শক্তিশালি কুয়েতের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে গোল পাওয়া তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। মাঠের ডানপ্রান্ত ধরে সতীর্থের কাছ থেকে পাওয়া বল কুয়েত গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন তিনি।
পরবর্তীতে আবারও ফিরতি বল পান এই স্ট্রাইকার। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বাধা পেরিয়ে দ্রুত শট নিতে হতো তাকে। এবার ঠিকমতো নিতে না পারা তার শটটি গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এর তিন মিনিট পর পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। কর্নার থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্স থেকে শট নিয়েছিল কুয়েত ফুটবলার। গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো একপাশে থাকায় বাংলাদেশ গোল হজম করার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু সেখানে একেবারে গোললাইন থেকে দারুণ চেষ্টায় বল ফেরত পাঠান এক বাংলাদেশি ডিফেন্ডার। ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল।
২৯ মিনিটে আল রশিদির শট জিকো অনেকটা লাফিয়ে এক হাতে ফিস্ট করার পর দ্রুত হেডে ক্লিয়ার করেন ইসা।
পরের মিনিটেই বাঁ দিক থেকে মোরসালিন ক্রস বাড়িয়েছিলেন বক্সে। রাকিব পাহারায় রাখা ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল ছুটছিল জালের দিকে, তবে আটকান গোলরক্ষক আব্দুল রহমান মারজুক। এরপর আলি মুহাইসেনকে তুলে মাহাদি দাস্তিকে নামান কুয়েত কোচ।
৪০তম মিনিটে আল রশিদির শট ঝাঁপিয়ে কর্নার করে দেন জিকো। প্রথমার্ধে কুয়েতের এই ২৪ বছর বয়সী রাইট উইঙ্গার সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ একাদশ : আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, ইসা ফয়সাল, সোহেল রানা, মো. হৃদয়, সোহেল রানা ( সিনিয়র), জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৭ ঘণ্টা, ১ জুলাই, ২০২৩
এআর/এমএইচবি