টাইব্রেকারে দুই দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের প্রত্যেকেই নিলেন শট। তা বিরল নয়তো কি! ম্যারাথন শুটআউট শেষে বাজিমাত করে ইন্টার মায়ামি।
মেসি যোগ দেওয়ার পর থেকেই রীতিমত বদলে যায় মায়ামি। একসময় হারের বৃত্তে থাকা মার্কিন ক্লাবটি মেসির জাদুতে ভর করে লিগস কাপে দেখায় একের পর এক চমক। গোলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালেও স্কোরশিটে নাম লেখান। জিওডিস পার্কে ম্যাচের ২৩ মিনিটে একক দক্ষতায় বাঁ পায়ের বাকানো শটে দুর্দান্ত এক গোল করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর অবশ্য ধাক্কা খায় মায়ামি। ৫৭ মিনিটে ফাফা পিকাউলতের গোলে সমতায় ফেরে নাশভিলে। এরপর ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়েও অবিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে। তাই আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। স্পটকিক থেকে মায়ামির হয়ে প্রথম শটেই বল জালে ফেলেন মেসি। প্রথম শটে গোল পায় নাশভিলেও, তবে দ্বিতীয় শটে মিস করে তারা। টানা চার শটে গোলের দেখা পাওয়া মায়ামি হোঁচট খায় পঞ্চম শটে গিয়ে। মিস করে বসেন ভিক্টর উল্লোয়া। এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।
৭ ম্যাচে ১০ গোল করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অনুমিতভাবেই ওঠে মেসির হাতে। ব্যক্তিগতভাবে আরও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিগস কাপ জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক সতীর্থ দানি আলভেসকে। এটি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২৩
এএইচএস