গত বছর এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং প্লে-অফে মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল আবাহনীর। কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে স্বাগতিক দলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল আবাহনী। ম্যাচের মাত্র ১৭তম মিনিটে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের গোলে এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে এক আক্রমণে মোহনবাগানের গোলরক্ষকের হাত ফস্কে বল বেরিয়ে যায়। আবাহনীর স্টুয়ার্ট বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।
পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান আবাহনীর ওপর আক্রমণ বাড়াতে থাকে। জেসন কামিন্স, সাহালদের সমন্বয়ে মোহনবাগানের আক্রমণ ভালোই রুখে যাচ্ছিল আবাহনী। কিন্তু ৩৮তম মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ভেতর সুসান্তের ফাউলে পেনাল্টি উপহার পায় ভারতীয় ক্লাবটি। অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড কামিন্স গোল করে সমতা আনেন।
ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা এক মৌসুম আগে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন এই মোহনবাগানের বিপক্ষেই। সেই কার্ডের জন্য এবার আবাহনীর হয়ে এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে খেলতে পারেননি। আজ নেমেই আরেকটি ফাউল করে কার্ডের পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছেন তিনি।
বিরতির পর অসহায় আত্মসমর্পণ করে আবাহনী। ৫৮তম মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন মিলাদ শেখ। দুই মিনিট পর মোহনবাগান ব্যবধান আরও বাড়ায়। আরমান্দো সাদিকু তৃতীয় গোল করে সফরকারীদের ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই দেন।
শেষের দিকে আবাহনী সুযোগ পেয়েও গোল ব্যবধান কমাতে পারেনি। তাতে আরও একবার জয় নিয়ে মোহনবাগান মাঠ ছেড়েছে। দুই দলের মোট চার বারের সাক্ষাতে মোহনবাগান তিনবার ৩-১ গোলে জয় নিয় মাঠ ছাড়ল। একবার ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এআর/আরইউ