আন্তর্জাতিক ম্যাচ অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা। আগামীকাল (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেক হবে স্টেডিয়ামটির।
ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কোচ কাবরেরা। যদিও পুরো স্কোয়াড নিয়ে খুব বেশি দিন ক্যাম্প করতে পারেননি কাবরেরা। তবে সব মিলিয়ে সন্তুষ্ট তিনি। কাবরেরা বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পটা বেশ ভালো কেটেছে। আজ ১১ নম্বর সেশন শেষ হলো। এ সময় খেলোয়াড় কম-বেশি ছিল আমাদের, তা মানিয়ে নিয়েই কাজ করতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের মানসিকতা আর অনুশীলনের মান বেশ ভালো ছিল। আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা আমাদের সমর্থকসহ সবাইকে দেখাতে চাই, সাফে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা, তা ধরে রাখার যোগ্য আমরা। কালকের ম্যাচের জন্য আমরা বেশ ভালোভাবেই তৈরি। ’
কোচের সঙ্গে একমত দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। তিনি বলেন, ‘কোচ যা বলেছেন, এবার স্কোয়াডটা অনেক বড়, অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে ওরা বেশ ভালো অনুশীলন করেছে, ভালো কাজ দেখিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য আফগানিস্তান। সাফে যে খেলাটা খেলেছি, সেটা ধরে রাখতে হবে আমাদের। আর আমি মনে করি, সেটা ধরে রাখতে পারলে আমাদের জন্য কাল ভালো একটা ম্যাচ অপেক্ষা করছে। অনেক দিন পরে ঢাকায় খেলতে আসছি। আবারও ঢাকায় খেলতে পেরে বেশ আনন্দিত আমি। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচটা খেলতে মুখিয়ে আছি। সবাই রোমাঞ্চিত কালকের ম্যাচের জন্য। ’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এই বিষয়ে জামাল বলেন, ‘অবশ্যই, কোচের সঙ্গে একমত। এই বছর আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি যে মালদ্বীপ ম্যাচকে, তার আগে কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে নিজেদের বাজিয়ে দেখছি এখন। আবদুল্লাহ দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলটাকে ভালোভাবে চেনে, নেপালের কোচ ছিলেন তিনি। তার অধীনে দলটা কঠিনই হতে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ভালো সুযোগ, এটা দেখানোর যে আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি, আমরা এটা চাই, র্যাঙ্কিংয়েও ওপরের দিকেই যেতে চাই। ’
আর্জেন্টিনায় সোল দে মায়োর হয়ে খেলার জন্য বাংলাদেশের ক্যাম্পে দেরিতে যোগ দিয়েছেন জামাল। তবে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি একটু দেরিতে যোগ দিয়েছি, আর্জেন্টিনায় আমার খেলা ছিল। যখন আমি যোগ দিয়েছি, তখন দেখেছি সবাই প্রস্তুত, সবাই দলের সবকিছু সম্পর্কে জানে। যা আমি দেখেছি, তা হচ্ছে সবাই প্রস্তুত। নতুন খেলোয়াড় আছে, তাদের মানিয়ে নিতে হবে। কোচ যেমন বলেছেন, ম্যাচটা আমাদের জন্য মালদ্বীপ ম্যাচের প্রস্তুতির। তা তো আছেই, ম্যাচটা জিততে পারলে কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের সামনের দিকে এগোনোর সুযোগ থাকবে। ’
আফগানিস্তানকে কঠিন প্রতিপক্ষই মানছেন জামাল। তাদের বেশিরভাগ ফুটবলারের ইউরোপের বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে নিজেদের খেলাটা ঠিক ভাবে খেলতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলেই মনে করেন তিনি।
জামাল বলেন, ‘তাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় ইউরোপে খেলে। মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া ভারতে খেলা খেলোয়াড়ও আছে। আফগানরা কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে এটা আমাদের জন্য ভালো। আসল খেলা হচ্ছে মালদ্বীপের বিপক্ষে, তার আগে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে প্রস্তুত হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ’
আগামী ম্যাচে দর্শকরা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে বলে মনে করেন জামাল। কিংস অ্যারেনার প্রশংসা করে জামাল বলেন, ‘ঢাকায় আমরা অনেকদিন পর খেলছি। এখানেই অনেক খেলোয়াড় থাকে। আর ঢাকা আমাদের রাজধানী, আপনি তো রাজধানীতেই খেলতে চাইবেন, না? কিংস অ্যারেনার ভালো দিকটা হলো, সমর্থকরা কাছাকাছি আসে খেলোয়াড়দের। আমরা তাই পরিবেশটা আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারব। এটা ভালো বিষয়। কারণ অন্য স্টেডিয়ামে, যেমন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, সমর্থকরা খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক দূরে বসতে হয়। তো কিংস অ্যারেনায় একটা ভিন্ন পরিবেশ হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৩
এআর/এএইচএস