অবিশ্বাস্য লাগছে? লাগারই কথা! জার্মানিকে এমন রূপে শেষ কবে দেখা গিয়েছিল তা মনে করাই মুশকিল। টানা দুই বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর এবার ঘরের মাঠে রীতিমত বিধ্বস্ত হলো জাপানের কাছে।
টানা তৃতীয় পরাজয়ের ফলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় কোচ হান্সি ফ্লিক। তার অধীনে অপ্রতিরোধ্য ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এমন কিছু নেই যা জেতেনি। কিন্তু জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই সেই জাদু হারিয়ে ফেললেন ফ্লিক। আগামী পরশু ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে একই পরিণতি ঘটলে বরখাস্ত হতে পারেন তিনি। এমনই গুঞ্জনই ভাসছে জার্মান গণমাধ্যমে।
আগামী বছরের ইউরোর আয়োজক জার্মানি। যার ৯ মাসও বাকি নেই। কিন্তু বর্তমান দলটির নাজুক অবস্থা বেশ ভাবাচ্ছে সমর্থকদের। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের ১১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। যদিও ১৯ মিনিটে তাদের সমতায় ফেরান লেরয় সানে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাস, পরিকল্পনা, শক্তিমত্তায় ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে জাপান। ম্যাচের ২২ মিনিটে আয়াসে উয়েদার গোলে আবারও এগিয়ে যায় দলটি। বিরতির পর দুই মিনিটে টানা দুটি সুযোগ পেলেও জার্মানিকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক আন্দ্রে টের স্টেগান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর জাল রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ৯০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি জাপানের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দেন তাকুমা আসানো। যোগ করা সময়ে জার্মানির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন আও তানাকা।
হতাশাজনক হার মেনে নিয়ে জার্মান অধিনায়ক ইলকায় গুন্দোয়ান বলেন, 'আমাদের সৎ থাকতে হবে এবং বলতে হবে জাপান ভালো দল ছিল। বলের নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছেই ছিল। সঠিক জায়গায় খেলে নিজেদের গোল তৈরি করেছে তারা। তারা ভালো দল ছিল। আমরা খুব বেশি ব্যক্তিগত ভুল করেছি। স্বীকার করতেই হবে প্রতিপক্ষের দলের সঙ্গে একই লেভেলে ছিলাম না আমরা। এটা মেনে নেওয়া কঠিন, তবে প্রবণতা এটাই বলে। '
'আমাদের মেনে নিতে হবে এই মুহূর্তে আমরা যথেষ্ট ভালো দল নই। এটাই বাস্তবতা। হয়তো আমরা নিজেদের এর চেয়ে ভালো মনে করি। '
এদিকে ইউরো বাছাইপর্বে হোঁচট খেয়েছে ইতালি। নর্থ মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। বিরতির পর আজ্জুরিদের এগিয়ে দেন সিরো ইম্মোবিলে। কিন্তু ৮১ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ ড্র করে নর্থ মেসিডোনিয়া। এই ড্রয়ের ফেলা মূল পর্বে খেলার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে গেল ইতালির জন্য। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এএইচএস