নারী বিশ্বকাপের ফাইনালের পর চুমু-কাণ্ড নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন লুইস রুবিয়ালেস। এর জেরে ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধও হয়েছেন তিনি।
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জেনিফার এরমোসোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন রুবিয়ালেস। পরবর্তীতে বিষয়টির জন্য ক্ষমাও চান তিনি। তার দাবি, ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে গেছে। তবে এতে খুব বেশি লাভ হয়নি। এরমোসোও পরে জানান, ওই চুমু অনিচ্ছাকৃত বা মুহূর্তের উত্তেজনায় ছিল না; 'উদ্দেশ্যমূলকভাবে' এই কাজ করেছেন রুবিয়ালেস।
চুমু-কাণ্ডের জন্য রুবিয়ালেসকে তিন মাসের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। তদন্ত এখনও চলমান। এরমোসোও আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উয়েফাও। এমনকি জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা তিনি দায়িত্বে থাকলে খেলবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনা এমনকি স্পেনের বিশ্বকাপ জয়কেও ছাপিয়ে যাচ্ছিল।
নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে অবশেষে সরেই দাঁড়ালেন রুবিয়ালেস। গত মঙ্গলবার পিয়ার্স মরগানের টেলিভিশন শোয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। ' আজ চূড়ান্ত ঘোষণাও চলে এলো। শুধু স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন নয়, তিনি পদত্যাগ করেছেন উয়েফার নির্বাহী কমিটি থেকেও।
এদিকে গত শুক্রবার যৌন হেনস্থা ও বলপ্রয়োগের দায়ে স্পেনের উচ্চ আদালতে রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তারও আগে গত মঙ্গলবার তার জবানবন্দি নিয়েছেন প্রসিকিউটররা। যদিও রুবিয়ালেস নিজে দাবি করেই যাচ্ছেন, চুমুর ঘটনাটি পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছে। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। উচ্চ আদালত থেকেও কঠিন শাস্তির সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
এমএইচএম