পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন গত জুলাইয়ে। তবে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে মনের মতো বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি।
ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ ড্রাইভ পিংক স্টেডিয়ামের কাছেই অবস্থিত ফোর্ট লডারডেলে ১০.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি টাকার বেশি) খরচ করে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন মেসি। ১৯৮৮ সালে নির্মিত বাড়িটির ডিজাইন করেছিলেন বিখ্যাত ডিজাইনার লোরি মরিস। ফ্লোরিডা ডিজাইন ম্যাগাজিনেও জায়গা করে নিয়েছিল বাড়িটির ছবি।
ফোর্ট লডারডেলের অভিজাত এলাকা বে কলোনির গেটেড কমিউনিটিতে অবস্থান মেসির নতুন বাড়ির, যার বাড়িটির আয়তন ১০ হাজার ৫০ বর্গফুট। বাড়িতে রয়েছে ১০ শয়নকক্ষ, ৯টি বাথরুম, একটি সুইমিংপুল, প্রশস্ত রান্নাঘর, তিনটি গাড়ি রাখার গ্যারেজ এবং দুইটি ঘাট। বাড়ির চারপাশে রয়েছে লেক, যেখানে রয়েছে ১৭০ ফুট ওয়াটারফ্রন্ট। বাড়ির ভেতরে একটি জিম ও স্পা, এন্টারটেইনিং লাউঞ্জ, হোম অফিস এবং ১৬৬ বর্গফুটের বিশাল বেডরুম।
ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানোর আগে পরিবার নিয়ে ফ্লোরিডায় ছুটি কাটাতে যেতেন মেসি। ২০১৯ সালে ৯০ লাখ ডলার (৯৮ কোটি টাকা) খরচ করে সেখানে একটি বাড়ি আগেই কিনে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ৬০ তলার পোরশে ডিজাইন টাওয়ারে অবস্থিত বাড়িটি ইন্টার মায়ামির মাঠ থেকে ২৫ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত। তবে যানজটের কারণে সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। বে কলোনির নতুন বাড়িটি থেকে গাড়িতে করে স্টেডিয়ামে যেতে তার লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে আছেন মেসি। গত ৮ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নেমে গোলও করেছিলেন তিনি। তবে বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামেননি তিনি। তবে তাকে ছাড়াই লাপাজের উচ্চতা জয় করে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচ শেষে মায়ামিতে ফেরার কথা মেসির। এরপর নতুন বাড়িতে উঠবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
এমএইচএম