ঘরের মাঠ শুরু থেকে কিছুই পক্ষে আসছিল বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে গোল হজমের পর ইনজুরির কারণে হারাতে হয়েছে মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে।
ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সা। পাঁচ গোলের থ্রিলারে সেলতা ভিগোকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় তারা। কাতালান কোচ জাভি হার্নান্দেস, ম্যাচটিকে নৃশংস প্রত্যাবর্তন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই মন্তব্যের সঙ্গে হয়তো দ্বিমত করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
টানা দুই ম্যাচে ৫-০ গোলে জয়ের পর রীতিমত উড়ছিল বার্সা। কিন্তু সেলতা ভিগোর সামনে পড়লেই কেমন যেন ভড়কে যায় তারা। গত দুই মৌসুমে লিগে বার্সার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে সেলতা। এবারও সেই পথেই ছিল ক্লাবটি। ১৯ মিনিটে হোর্হে স্ত্রান্দ লার্সেনের গোলে এগিয়ে যায়।
গোড়ালির ইনজুরিতে পড়ে ৩৬ মিনিটে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় ডি ইয়ংকে। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর ফর্মেশনে পরিবর্তন আনেন জাভি। দুই জনের পরিবর্তে তিন জন সেন্টার ব্যাক রাখেন তিনি। গতি বাড়ান আক্রমণে। কিন্তু ৭৬ মিনিটে সেই ডিফেন্সের ভুলেই আবারও পিছিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
এরপরই আসে সেই রোমাঞ্চকর মুহূর্ত। এই আট মিনিট অনন্য হয়ে থাকবে বার্সার ইতিহাসে। ৪ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে সমতা ফেরান রবের্ত লেভানদোভস্কি। প্রথম জোয়াও ফেলিক্স ও পরেরটিতে জোয়াও কানসেলোর অ্যাসিস্টে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। ৮৯ মিনিটে গাভির ইঞ্চ-পারফেক্ট ক্রসে পা ছুঁইয়ে বার্সাকে জয়ের আনন্দে ভাসান কানসেলো।
এই জয়ে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে আছে বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে আছে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এএইচএস