দেশের ফুটবলে একসময় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল মোহামেডান-আবাহনী ঘিরে। তবে বসুন্ধরা কিংসের আবির্ভাবের পর বদলে গেছে সব সমীকরণ।
কিংসের আগমণের পর আবাহনী হয়ে গেছে দেশের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সেরা দল। লিগ শিরোপা আর জেতে না অভিজাত দলটি! এমনকি কিংসের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়েও আবাহনীর পরিসংখ্যান তাদের হয়ে কথা বলছে না।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ বারের সাক্ষাতে কিংস জিতেছে ১২টি ম্যাচ। বাকি ৪ ম্যাচের দুটি ড্র এবং দুটি জিতেছে আকাশি-নীলরা।
একই চিত্র মোহামেডানের ক্ষেত্রে। ১৩ বারের সাক্ষাতে কিংস জিতেছে ৮ মাচ। মোহামেডানের জয় তিন ম্যাচে। বাকি ম্যাচে ড্র।
আবাহনী যে দুটি ম্যাচ জিতেছে সেটাও আবার কাপ টুর্নামেন্টে। একটি ফেডারেশ কাপে, অন্যটি স্বাধীনতা কাপে।
দুটিই আবার ফাইনাল। দুইবারই কিংসকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে তারা। সেক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আবাহনীর বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে কিংস অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। মোহামেডানের বিপক্ষে লিগ ম্যাচে হারতে হয়েছ কিংসকে। তবে এবারের মৌসুমে সাদা কালোদের হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
দেশের ফুটবলে একের পর এক কীর্তি গড়ে কিংস নিজেদের নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। জিতেছে টানা পাঁচটি লিগ শিরোপা। এছাড়া তিনটি স্বাধীনতা কাপ ও দুটি ফেডারেশন কাপের শিরোপাও ঘরে তুলেছে কিংস। ফেড কাপের আরেকটি আসরের ফাইনালে পৌঁছে গেছে রবিনহোরা। এবার ট্রেবল জয়ের হাতছানি কিংসের সামনে। আগামী ও ২২ মে ফেডারেশন কাপের ফাইনালেও কিংস এর প্রতিপক্ষ মোহামেডান। তাদের হারিয়ে এবার ট্রেবল জয়ের হাতছানি অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
এআর/আরইউ