শব্দের মাত্রা মাপা হয় ডেসিবল ইউনিটের মাধ্যমে। মানুষের কান ৭০ ডেসিবল পর্যন্ত শব্দ সহ্য করতে পারে।
ডেসিবল নিয়ে কথা বলার কারণ হচ্ছে, ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বরে লেবাননের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার শেখ মোরসালিন যে গোল করলেন, সেই গোলের পর দর্শকের উচ্ছ্বাসের শব্দ ১০০ ডেসিবল এর ঊর্ধ্বে চলে যায়। কীভাবে মাপা হয়েছিল? অ্যাপেল এর স্মার্টওয়াচ যদি থাকে তাহলে এটি আপনাকে সাবধান করে যে, শব্দের মাত্রা বেশি, আপনি অন্য জায়গায় যান। ঢাকায় মোটরসাইকেলের হর্ণের জন্য নির্ধারিত শব্দের মাত্রা ৮৫-৯০ ডেসিবল পর্যন্ত। কিন্তু সেদিন বাংলাদেশের অগণিত ফুটবলসমর্থক একসঙ্গে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় যেমন চিৎকার করেছিলেন গোলের পর, তা অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ অনুযায়ী ছিল ১০০ ডেসিবলের ঊর্ধ্বে।
এখন যদি আমরা ওয়ার্ল্ড ফুটবলের দিকে তাকাই, লিভারপুলের অ্যানফিল্ডে খেলা শুরুর আগে সমর্থকরা সমস্বরে যে (You will never walk alone) গানটা গায় তখন স্টেডিয়ামে ডেসিবল থাকে ৯৭, কিন্তু সেটা টানা ২-৩ মিনিট যেটা ধরে রাখা অনেক কষ্টকর। জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সমর্থকদের গানের (Yellow Wall) মাত্রা ১২০ ডেসিবলের কাছাকাছি। বিশ্বের রেকর্ড এখন পর্যন্ত হচ্ছে ১৩১.৭৬ ডেসিবল যা হয়েছিল তুরস্কের ক্লাব গ্যালাতাসারাইয়ের তুর্ক টেলিকম অ্যারেনায়।
কিংস অ্যারেনায় সেদিন আমরা বাঙালি সমর্থকরা শব্দের মাত্রা নিয়ে গিয়েছিলাম ১০০ ডেসিবলের ঊর্ধ্বে। এ অর্জন বাংলাদেশের সব ফুটবল সমর্থক, যারা সেদিন মাঠে ছিলেন এবং এক অভূতপূর্ব আবহ তৈরি করেছিলেন।
সেই লেবানন ম্যাচের গোলের পর দীর্ঘ বিরতি শেষে ফিরছেন শেখ মোরসালিন। বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের খেলা ফিরছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়, ৬ জুন বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। ফুটবলে অস্ট্রেলিয়ার মতো এত উঁচু র্যাংকিং এর দলকে আতিথেয়তা দেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের সচরাচর হয় না। এমন দলকে ধরশায়ী করার মতো ক্ষমতা হয়তো বাংলাদেশের এখন নেই। কিন্তু দর্শকের হুংকার প্রতিপক্ষের কৌশল ধরাশায়ী করা এবং ঘাবড়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা বাঙালির আছে।
সেই আবহ আবারও হবে, উপস্থিত সবাই একসঙ্গে হুংকারও দেবে। প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি সঙ্গে থাকবেন কি না?
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৪
এআর/এমএইচএম