দুই গোল হজম করে শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল মেক্সিকো। কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিলকে হোঁচট খাওয়ানোর পথেই ছিল তারা।
পালমেইরাস ছেড়ে আগামী গ্রীষ্মেই রিয়াল মাদ্রিদের যোগ দেবেন এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই ওয়ান্ডার বয়কে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। এবার জাতীয় দলেও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। স্পেন, ইংল্যান্ডের পর মেক্সিকোর বিপক্ষে নিজের তৃতীয় গোল পেলেন এই ফরোয়ার্ড।
টেক্সাসের কাইল ফিল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই মেক্সিকোর ওপর চাপ বজায় রাখে ব্রাজিল। গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ভুল না করলে প্রথম ৩০ সেকেন্ডেই এগিয়ে যেত তারা। তবে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।
পঞ্চম মিনিটের মাথায় ডেডলক ভাঙেন আন্দ্রিয়াস পেরেরা। প্রথমার্ধে লড়াইয়ের ছাপ রাখলেও গোলের দেখা পায়নি মেক্সিকো। বিরতির পর ব্রাজিলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্তিনেল্লি। ইয়ান কুতোর অসাধারণ অ্যাসিস্ট ১৮ গজের বক্স থেকে কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি এই আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।
এই ম্যাচে অবশ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতা। রাফিনিয়ার মতো তারকাদের বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজান ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। এনদ্রিকও ছিলেন না প্রথম একাদশে। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর তাকে মাঠে নামান দরিভাল। ৭৪ মিনিটে মেক্সিকো এক গোল শোধ দেওয়ার পর ভিনিসিয়ুসকেও আর বেঞ্চে বসিয়ে রাখেননি তিনি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেক্সিকোকে সমতায় ফিরিয়ে তাক লাগিয়ে দেন গিয়ের্মো মার্তিনেস আয়ালা। তবে নাটকীয়তা তখনো শেষ হয়নি। চার মিনিট পর ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে ব্রাজিলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন এনদ্রিক।
কোপা আমেরিকার আগে আগামী ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আরও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ডি গ্রুপে কোপা আমেরিকায় সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
এএইচএস