ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

নবাবগঞ্জের মেয়ে সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে সংবর্ধনা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
নবাবগঞ্জের মেয়ে সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়াকে সংবর্ধনা

নবাবগঞ্জ (ঢাকা): সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়াকে সংবর্ধনা দিয়েছে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

সুমাইয়ার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সংবর্ধিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম।

সুমাইয়াকে সংবর্ধনা জাননোর সময় সঙ্গে ছিলেন তার মা মাতসুশিমা তমোবি ও বাবা মাসুদুর রহমান। এছাড়া চুড়াইন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান লিটন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসিফ হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহান, উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হাসান আহমেদসহ অনেকে।

জানা যায়, মাতসুশিমা সুমাইয়া একজন জাপানি-বাংলাদেশি ফুটবলার। সুমাইয়া বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বৈত পাসপোর্টধারী। বাংলাদেশের নারী ফুটবলে সুমাইয়াই প্রথম প্রবাসী ফুটবলার, যিনি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের নিয়মিত সদস্য।

তিনি জাপানে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মা মাতসুশিমা তমোবি জাপানের নাগরিক। আর তার বাবা মাসুদুর রহমানের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন গ্রামে।

মাতসুশিমা সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর বয়সে বাংলাদেশে আসেন সুমাইয়া। পরে ২০০৮ সাল থেকে বাবার দেশ বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

সুমাইয়ার জাপানি মা মাতসুশিমা তমোবি বাংলা ভাষায় জানান, তিনি স্বামীর দেশেই থাকতে চান। তাদের মেয়ে সুমাইয়া রাজধানীর নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে সম্মান প্রথম বর্ষে পড়ছেন। এদেশের মানুষ তার খুব ভালো লাগে। তিনি এদেশকে ভালোবেসে ফেলেছেন। মেয়ের সাফল্যে তিনি আনন্দিত।

বাংলাদেশ দলের অন্যান্য খেলোয়াড়ের মতো পথচলা নয় সুমাইয়ার। ২০২০ সালে বাফুফের কোচদের নজরে এসেছিলেন সুমাইয়া। কিন্তু তখন দলে ডাক পাননি। সুমাইয়া বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বৈত পাসপোর্টধারী হওয়ায় তার জন্য জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়েছে বাফুফেকে। ফলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। ২০২৩ সালে তাকে প্রথম অনুশীলন ক্যাম্পে ডেকেছিল বাফুফে। অন্যরা বয়সভিত্তিক দলগুলো পার করে এলেও, সুমাইয়া সরাসরি সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। তাই অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বেশ। সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করেই সামনে এগিয়ে যেতে চান মাতসুশিমা সুমাইয়া- এমনটাই জানায় তার পরিবার।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।