দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাফুফেতে তার অধ্যায়।
তবে বাফুফেতে না থেকেও যেন আছেন সাবেক সভাপতি। বারবারই উঠে আসছে তার নাম। এই যেমন গতকাল টানা দ্বিতীয় সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নারী দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। সেখানে সালাউদ্দিন বন্দনায় মেতে ওঠেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
নারী ফুটবলের সাফল্যের কৃতিত্ব কাজী সালাউদ্দিনকেই দিলেন কিরণ। শুধু তাই নয় নারী ফুটবলের ‘মাস্টার মাইন্ড’ কাজী সালাউদ্দিন এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে সালাউদ্দিনকে স্মরণ করে কিরণ বলেন ‘আরেকজনকে আমার ধন্যবাদ না জানালেই নয়, যিনি না থাকলে আজকে মহিলা ফুটবল এই অবস্থায় আসতো না। আজকে আমরা মেয়েদের সংবর্ধনা দিতে পারতাম না, আজকের এই দিনটিও আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেখতাম না। ’
‘তিনি আর কেউ নন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন। যার ডেডিকেশন, যার পরিশ্রম, যার দূরদর্শিতার কারণে আমরা এখানে আসতে পেরেছি। কাজী সালাউদ্দিনের মতো প্রেসিডেন্ট যদি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে না থাকতো আজকে মহিলা ফুটবলের এই দিনটি আমরা দেখতাম না। উনি হচ্ছেন মাস্টার মাইন্ড। ’
কিরণ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক ফুটবল বোদ্ধা আছে কিন্তু কাজী সালাউদ্দিন হচ্ছেন সেরা। আমরা সৌভাগ্যবান যে তার মতো একজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছিলাম। ’ শুধু গতকালই নয় নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর থেকেই সকল কৃতিত্ব সালাউদ্দিনকে দিয়ে আসছেন কিরণ। সালাউদ্দিনের আস্থাভাজন হিসেবেই বাফুফেতে পরিচিত কিরণ। বর্তমানে তার বিভিন্ন বক্তব্যে এই কথা আরও পোক্ত হচ্ছে।
২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত টানা ষোলো বছর রেকর্ড চার মেয়াদে সালাউদ্দিন ছিলেন বাফুফের প্রেসিডেন্ট। এবার নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত দাঁড়াননি নির্বাচনে। তিন সপ্তাহ আগে রেকর্ড ৯৬ দশমিক ০৬ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাবিথ আউয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
এআর/আরইউ