নাটকীয় এক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মাতেউস নুনেসের দুর্দান্ত গোলে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ের সুবাদে তারা উঠে এসেছে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে, যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে সিটি। তবে স্কোরলাইন আসল চিত্রটা তুলে ধরতে পারবে না। কারণ ম্যাচটা বেশ হাড্ডাহাড্ডি ছিল। শুরুতে বার্নার্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় সিটি, তবে কিছুক্ষণ পরই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফেরান মার্কাস রাশফোর্ড। এরপর বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না পেপ গার্দিওলার দল।
অবশেষে ইনজুরি টাইমে এসে নায়ক হয়ে উঠলেন বদলি খেলোয়াড় জেরেমি ডোকু। বাঁ দিক দিয়ে দুর্দান্ত গতিতে উঠে অসাধারণ এক ক্রস দেন ডান পায়ের বাইরের দিকে ঘুরিয়ে। সেই পাসে ফাঁকায় পাওয়া নুনেস নিশ্চিত করেন নিজের মৌসুমের প্রথম লিগ গোল, আর সেটাই হয় ম্যাচজয়ী গোল।
এই হারে ভিলার দুর্ভাগ্য আরও দীর্ঘ হলো। এটা ছিল টানা ১৫তম লিগ ম্যাচ যেখানে তারা সিটির মাঠে হেরে ফিরল। ম্যাচ শেষে গার্দিওলার উল্লাসই বোঝায়, এই জয়টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নুনেসকে জড়িয়ে ধরেন, পুরো দলকে অভিনন্দন জানান, এমনকি সমর্থকদের দিকেও হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান।
এই জয়ে সিটি এখন চার পয়েন্ট এগিয়ে ভিলা ও চেলসির চেয়ে, যদিও চেলসির একটি ম্যাচ হাতে আছে। তবে সিটির সামনে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ—উল্ভস ও অবনমিত সাউদাম্পটনের বিপক্ষে খেলবে তারা। অন্যদিকে চেলসিকে খেলতে হবে নিউক্যাসল ও নটিংহ্যাম ফরেস্টের মতো কঠিন দলের বিপক্ষে।
তবে ম্যাচে গার্দিওলার ক্ষোভও স্পষ্ট ছিল। ভিলার পাওয়া পেনাল্টি নিয়ে তিনি বেশ বিরক্ত ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রিপ্লেতে রুবেন দিয়াসের ফাউল দেখতে গিয়ে মাথা নাড়তে থাকেন, বোঝাই যাচ্ছিল তিনি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি।
এই সিটি এখন আর আগের মতো ভয়ঙ্কর না হলেও, তাদের জয়ের ক্ষুধা এখনও তীব্র। ইনজুরিতে থাকা হালান্ড ও রদ্রিকে মাঠের পাশে বসে উদ্বিগ্নভাবে খেলা দেখতে দেখা গেছে—যা বোঝায়, এই দলটা এখনও পূর্ণ শক্তিতে নেই। তবুও এমন এক গুরুত্বপূর্ণ জয়ে গার্দিওলার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট পাওয়ার স্বপ্নটা আরও জোরালো হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
এমএইচএম