ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

ফুটবল

লিভারপুলের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়: অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস আর বিজয়ের মহোৎসব

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫০ এএম, এপ্রিল ২৮, ২০২৫
লিভারপুলের ঐতিহাসিক শিরোপা জয়: অ্যানফিল্ডে উচ্ছ্বাস আর বিজয়ের মহোৎসব সংগৃহীত ছবি।

লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো দুর্দান্ত স্টাইলে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২০টি লিগ শিরোপার রেকর্ডে সমতা এনে। টটেনহ্যাম হটস্পারকে বিধ্বস্ত করে, অ্যানফিল্ডে তারা উদযাপন করল এক আবেগঘন ও গৌরবময় দিন।

আর্নে স্লটের দলকে শিরোপা নিশ্চিত করতে দরকার ছিল মাত্র এক পয়েন্ট। যদিও সাবেক লিভারপুল স্ট্রাইকার ডমিনিক সোলাঙ্কে শুরুতেই গোল করে এক মুহূর্তের জন্য নাটকীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সেই ধাক্কা লিভারপুলকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে।

মাত্র ১৬ মিনিটে লুইস দিয়াজ, ডমিনিক সোবোস্লাইয়ের পাস থেকে সমতাসূচক গোল করেন। প্রথমে অফসাইডের অভিযোগ উঠলেও, পরে ভিএআরের সহায়তায় গোলটি বৈধ ঘোষণা হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

৮ মিনিট পর, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তারর এক অবিশ্বাস্য দূরপাল্লার শটে গোলকিপার গুলিয়েলমো ভিকারিওকে পরাস্ত করে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন।

৩৪ মিনিটে কোডি গাকপো দুর্বল টটেনহ্যাম রক্ষণের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় গোলটি করেন। পুরো অ্যানফিল্ড তখন উৎসবের মঞ্চে রূপ নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল ছিল আরও আগ্রাসী। ৬৩ মিনিটে মোহামেদ সালাহ তার চিরচেনা কাট-ইন করে গোল করেন এবং এরপর গ্যালারি থেকে পাওয়া এক ভক্তের মোবাইল দিয়ে সামনে স্মরণীয় সেলফি তোলেন।

আরও ছয় মিনিট পর, সালাহর চাপ সামলাতে না পেরে ডেস্টিনি উদোগি আত্মঘাতী গোল করে লিভারপুলের পঞ্চম গোলটি উপহার দেন।

এই জয়ে লিভারপুল ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো সমর্থকদের সামনে লিগ শিরোপা জয় উদযাপন করল। ২০২০ সালের কোভিড মহামারির সময় তাদের শিরোপা জয় ঘটেছিল দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে, তাই এবারের উল্লাস ছিল অতুলনীয়।

তিন দশকের অপেক্ষার অবসান

প্রায় ৩৫ বছর আগে, ১৯৯০ সালের ২৮ এপ্রিল, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে হারিয়ে অ্যানফিল্ডে শেষবারের মতো সমর্থকদের সামনে লিগ শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। দীর্ঘ এই অপেক্ষার শেষে এবার অ্যানফিল্ড যেন ফিরে পেল তার হারানো গৌরব।

ম্যাচের আগেই লাল ধোঁয়ার মেঘে ঢেকে গিয়েছিল চারপাশ। লিভারপুলের টিম বাস যখন স্টেডিয়ামে পৌঁছায়, তখন থেকেই চারদিকে উন্মাদনা আর বিজয়ের প্রত্যাশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

আর্নে স্লট, যাকে অনেকেই ইয়ুর্গেন ক্লপের উত্তরসূরি হওয়ার ‌‘অসম্ভব কাজ’ হিসেবে দেখেছিলেন, অসাধারণ দৃঢ়তা আর মসৃণ পরিকল্পনায় লিভারপুলকে পুনরায় ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসিয়েছেন — তাও তার প্রথম মৌসুমেই।

শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে অ্যানফিল্ড জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে লাল রঙের ধোঁয়া। স্লট এবং তার সহকর্মীরা মাঠের কেন্দ্রে এসে দাঁড়ান, আর পুরো দল ছুটে যায় কপের সামনে — চ্যাম্পিয়নদের প্রাপ্য শ্রদ্ধা জানাতে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫০ এএম, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।