আবারও ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে দামি ক্লাবের তকমা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তালিকার শীর্ষ দশে রয়েছে ৬টি ইংলিশ ক্লাব।
'ফুটবল ক্লাবস ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট' নামে এই বিশ্লেষণটি প্রকাশ করেছে বুদাপেস্টভিত্তিক 'ফুটবল বেঞ্চমার্ক গ্রুপ', যারা বিগত ১০ বছর ধরেই এই মূল্যায়ন করে আসছে। এ রিপোর্টে ক্লাবগুলোর "এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু" হিসেব করা হয়েছে — অর্থাৎ একটি ক্লাবের শেয়ারের মূল্য ও ঋণের পার্থক্য মিলিয়ে যা দাঁড়ায়।
রিয়াল মাদ্রিদ এবার প্রথম ক্লাব হিসেবে ৬.৩ বিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৭৪ হাজার কোটি টাকা) মূল্য অতিক্রম করে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এরপর রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি (৫.২ বিলিয়ন ইউরো) ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (৫.১ বিলিয়ন ইউরো)। বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ শীর্ষ পাঁচে স্থান করে নিয়েছে। লিভারপুল, আর্সেনাল, পিএসজি, টটেনহ্যাম ও চেলসি রয়েছে শীর্ষ দশে। আর এই তালিকার প্রথম ২০ ক্লাবের মধ্যে ৯টিই ইংল্যান্ডের, যা প্রিমিয়ার লিগের বিশ্বজয়ী আর্থিক অবস্থান স্পষ্ট করে।
শীর্ষ দশের চিত্র (ইউরোয়):
রিয়াল মাদ্রিদ – ৬.৩ বিলিয়ন
ম্যানচেস্টার সিটি – ৫.২ বিলিয়ন
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড – ৫.১ বিলিয়ন
বার্সেলোনা – ৪.৯ বিলিয়ন
বায়ার্ন মিউনিখ – ৪.৮ বিলিয়ন
লিভারপুল – ৪.১৮ বিলিয়ন
আর্সেনাল – ৩.৯৭ বিলিয়ন
পিএসজি – ৩.৭৪ বিলিয়ন
টটেনহ্যাম হটস্পার – ৩.৬৩ বিলিয়ন
চেলসি – ৩ বিলিয়ন
কীভাবে নির্ধারিত হয় ক্লাবের মূল্য?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্লাবগুলোর বার্ষিক আয়কে নির্দিষ্ট 'মাল্টিপল' দ্বারা গুণ করে এন্টারপ্রাইজ ভ্যালু হিসাব করা হয়। সেই সঙ্গে ক্লাবের মাঠে ও মাঠের বাইরে জনপ্রিয়তা (সোশ্যাল মিডিয়া অনুসরণ), স্কোয়াডের মূল্য, সম্প্রচার স্বত্ব এবং স্টেডিয়াম মালিকানার বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে একটি সূক্ষ্ম মানদণ্ড তৈরি করা হয়।
লোকসানেও আছে বড় ক্লাবগুলো
প্রতিষ্ঠানিক মূল্য যতই হোক, বেশিরভাগ ক্লাবই এখনো ক্ষতির মুখে। ২০২২ সালে কোভিড-পরবর্তী ধ্বংসাবশেষে ইউরোপের ৩২টি শীর্ষ ক্লাব সম্মিলিতভাবে ২.৭৫ বিলিয়ন ইউরো লোকসান করেছিল। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫১৩ মিলিয়ন ইউরোয়। ব্যয় নিয়ন্ত্রণে উয়েফার নতুন নীতিমালা কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।
তথ্যসূত্র- দ্য অ্যাথলেটিক
এমএইচএম