এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। হামজা-সামিতদের নিয়ে গড়া দল প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেললেও প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে আছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ। তবে প্রথম ভালো সুযোগটি পায় সিঙ্গাপুর। নবম মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে শট নিতে গিয়ে পড়ে যান সিঙ্গাপুরের মিডফিল্ডার সং উই ইয়ং। ফলে ফাঁকা বারেও বল পাঠাতে পারেননি তিনি, বল বক্সের ডান পাশ ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
১৬ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন শাকিল আহাদ তপু। প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্সের সামনে বাধা পেয়ে একবার পড়ে গেলেও দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রাকিবের কাছে ক্রস দেন। শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় রাকিব দুর্বল শট নিলে সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক উজওয়াল মাহবুব সহজেই বল তালুবন্দি করেন। পরের মিনিটেই বাংলাদেশ আবারও আক্রমণে যায়, কিন্তু সামিত সোমের পাস রাকিবকে খুঁজে পায়নি।
৩১ মিনিটে মিতুলের দারুণ সেভে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে বামপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন ইখসান ফান্দি আহমেদ। সামনে কেবল মিতুল ছিলেন। বাঁ পায়ের গতিময় শট জালে জড়ানোর আগেই মিতুল বাম দিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন।
পরের মিনিটে সামিতের ডিফেন্সচেরা পাস রাকিবকে খুঁজে পায়নি; বল পায়ে ছোঁয়ানোর আগেই সিঙ্গাপুরের গোলকিপার এসে তালুবন্দি করেন। ৩৫ মিনিটে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া হামজার শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়।
বিরতির এক মিনিট আগে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুরের লং থ্রো বল ফিস্ট করেন মিতুল। কিন্তু পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে না পারায় বল বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের খেলোয়াড়দের কাছে যায়। প্রথম চেষ্টায় সিঙ্গাপুর ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় গোলমুখের সামনে থেকে ফাঁকা গোলে বল জড়ান ইয়ং। হামজা-তপুরা লাফিয়ে চেষ্টা চালালেও তার শট বাংলাদেশের জাল কাঁপিয়ে দেয়। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এআর/আরইউ